অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ১৮ হাজার অভিবাসীকে প্রত্যাবসনের পরিকল্পনা করছে ভারত সরকার। নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে চাপ কমাতে ভারত সরকার এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
বেশ কয়েকটি সূত্র ব্লুমবার্গকে জানিয়েছে, নতুন ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে এবং ভারতীয় নাগরিকদের বৈধ অভিবাসন ভিসা রক্ষা করতেই ভারত সরকার অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের চিহ্নিত করতে মার্কিন কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করছে।
ট্রাম্পের প্রথম নির্বাহী পদক্ষেপগুলোর অনেকগুলোই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসনকে লক্ষ্য করে করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে জাতীয় সীমান্ত জরুরি অবস্থা ঘোষণা এবং মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে সেনা মোতায়েন করা।
সূত্রগুলো ব্লুমবার্গকে জানিয়েছে, যদিও এখন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী ১৮ হাজার ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে, কিন্তু এর প্রকৃত সংখ্যা সম্ভবত আরও অনেক বেশি।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আনুমানিক সাত লাখ ২৫ হাজার অবৈধ ভারতীয় অভিবাসী রয়েছে।
ভারতীয় অভিবাসীদের শনাক্ত ও নির্বাসনের পদক্ষেপকে ট্রাম্পের দায়িত্ব নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে শান্ত করার প্রচেষ্টা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে এবং তারা নিয়মিত একে অপরকে ‘ভালো বন্ধু’ বলে সম্বোধন করেন।
তবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির অংশ হিসেবে ভারতের ওপর উচ্চ বাণিজ্য শুল্ক আরোপের হুমকিও দিয়েছেন, যা ভারতের জন্য ক্ষতিকর হবে এবং মোদি সরকার যেকোনও বাণিজ্য সংঘাত এড়াতে মরিয়া বলে মনে করা হচ্ছে।
কতজন অভিবাসীকে প্রত্যাবসন করা হবে তা নিশ্চিত করেনি ভারত সরকার। তবে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘অভিবাসন ও গতিশীলতা সংক্রান্ত ভারত-মার্কিন সহযোগিতার অংশ হিসবে, উভয় পক্ষই অবৈধ অভিবাসন রোধ করার জন্য একটি প্রক্রিয়ায় নিযুক্ত রয়েছে। ভারত থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ অভিবাসনের জন্য আরও সুযোগ তৈরি করার জন্য এটি করা হচ্ছে।’