• সোমবার, ০৩ মার্চ ২০২৫, ০৮:২৭ অপরাহ্ন

রাজধানীর বিভিন্ন অলি-গলিতে জমে উঠেছে ইফতার বাজার

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ২ মার্চ, ২০২৫
ফাইল ছবি

বছর ঘুরে আবার এসেছে সিয়াম সাধনার মাস রমজান। আর রোজার প্রথম দিনেই জমে উঠেছে রাজধানীর বিভিন্ন মহল্লার অলি-গলির ইফতারের বাজার। ছুটির দিন না হওয়া সত্ত্বেও দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই মানুষের ভিড় বাড়ছে ইফতারসামগ্রী বিক্রির দোকানগুলোতে। হরেক রকম ইফতার বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানিরা।

রোববার (২ মার্চ) দুপুরের পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সামনে প্রতি বছর ইফতারসামগ্রী বিক্রি করেন মো. মামুন। তিনি বলেন, বেগুনি, আলুর চপ, পিঁয়াজু প্রতি পিস ৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। বুট ও বুন্দিয়া প্রতি ১০০ গ্রামের মূল্য ২০ টাকা। ডিমের চপ প্রতি পিস ২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

এই বিক্রেতা বলেন, গতবার যে দামে বিক্রি করতাম এবারও সে দামেই বিক্রি করছি। তবে সাইজ একটু ছোট করেছি। কাঁচামালের দাম কিছুটা বাড়লেও ইফতারসামগ্রীর দাম আমরা বাড়াইনি।

আগারগাঁওয়ের বিএনপি বাজারে ফুটপাতের পাশে ইফতার সামগ্রী বিক্রেতা মো. ইব্রাহিম বলেন, আলুর চপ ও পিঁয়াজু প্রতি পিস ৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। তবে বেগুনির দাম ১০ টাকা। বেগুনির দাম বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে বললেন, কাঁচা বেগুনের দাম বেশি।

এছাড়া শাসলিক প্রতি পিস ৫০ টাকা, চিকেন টিকা প্রতি পিস ১৫ টাকা এবং বিফ টিকা প্রতি পিস ২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। চিকন জিলাপি প্রতি ১০০ গ্রামের দাম ৩০ টাকা আর মোটা জিলাপির প্রতি ১০০ গ্রামের দাম ২০ টাকা।

দামের আগুনে ইফতারসামগ্রীর বাজার গরম

আগারগাঁওয়ের অভিজাত রেস্তোরাঁ সুলেমান রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড কাবাবে ইফতার সামগ্রী নিয়ে কথা হয় রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা নুরুল আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমাদের এখানে মোটা জিলাপির কেজি ৩০০ টাকা আর চিকন জিলাপি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। বুন্দিয়া ২৪০ টাকা কেজি, সিদ্ধ বুট বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা করে। নিমকি প্রতি কেজি বিক্রি করা হচ্ছে ২০০ টাকা। আবার পিঁয়াজু, বেগুনি ও আলুর চপ, শাক পাকুরা পিসপ্রতি দাম ধরা হয়েছে ১০ টাকা।

নুজরুর ইসলাম বলেন, প্রতি পিস ডিম চপ ৩০ টাকা, ভেজিটেবল টোস ৪০ টাকা, চিকেন টোস ৫০ টাকা, ভেজিটেবল রোল ৪০ টাকা, চিকেন রোল ৫০ টাকা। এছাড়া সবধরনের টিক্কা বিক্রি হচ্ছে পিসপ্রতি ৫০ টাকা করে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ওলি-গলি, রাস্তার পাশের ইফতার সামগ্রী থেকে রেস্তোরাঁর ইফতার সামগ্রীর দামের পার্থক্য পিসপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা। আর যেসব সামগ্রী কেজি আকারে বিক্রি হচ্ছে সেখানে দামের পার্থক্য ১০ থেকে ২০ টাকা করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ