• বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

এবার সরাসরি আলোচনায় হামাস ও ট্রাম্প প্রশাসন

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ, ২০২৫

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সঙ্গে এবার সরাসরি আলোচনা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৯৭ সালে ফিলিস্তিনি এ স্বাধীনতাকামী দলটিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তকমা দিয়েছিল মার্কিন সরকার।

হামাসের সঙ্গে মার্কিন প্রশাসনের বৈঠককে তাই অনেকে বিরল বলে উল্লেখ করছেন। হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্ত করতে নিয়োজিত ট্রাম্প প্রশাসনের ‘দূত’ অ্যাডাম বোহেলার কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস বুধবার (৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হামাসের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এ আলোচনা ‘অভূতপূর্ব’ ঘটনা। কারণ দেশটি এর আগে কখনো সশস্ত্র এ গোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসেনি।

ইসরায়েলকে বাদ দিয়ে গাজা উপত্যকায় আটক মার্কিন জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি যুদ্ধের অবসানের জন্য একটি বৃহত্তর চুক্তির লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন হামাসের সঙ্গে সরাসরি এ আলোচনা করছে।খবর টাইমস অব ইসরাইলের।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র এক্সিউসকে জানিয়েছে, আলোচনা চললেও হামাস ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোনো ধরনের চুক্তি এখনো হয়নি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকোফের মঙ্গলবার কাতারে যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠক ছিল। কিন্তু ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধবিরতির আলোচনায় কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় তিনি তার সফরটি বাতিল করেছেন।

এক্সিওস জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন গাজা নিয়ে যে পথে আগাচ্ছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার প্রশাসন এমনভাবে আগায়নি।trmp

এছাড়া ট্রাম্পের নিজের বক্তব্য থেকেও এটি আলাদা। কারণ তিনি কয়েকদিন আগে হুমকি দিয়েছিলেন হামাসের জন্য ‘নরকের দরজা খুলে’ দেবেন এবং গাজা দখল করবেন। কিন্তু এখন তার প্রশাসন আড়ালে আলোচনা চালাচ্ছে।

হামাসের কাছে এখনো ৫৯ জিম্মি আটক রয়েছে। যার মধ্যে ৩৫ জনই মারা গেছে বলে ধারণা দখলদার ইসরায়েলের। এই ৫৯ জিম্মির মধ্যে একমাত্র মার্কিন জীবিত জিম্মি হলেন ২১ বছর বয়সী ইডান-আলেক্সান্ডার।

তাকে মুক্ত করতেই মূলত আলোচনা চালাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। একইসঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করারও চেষ্টা চলছে। কারণ গত শনিবার হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের ৪২ দিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।

যদিও দখলদার ইসরায়েল গাজায় এখনো হামলা চালানো শুরু করেনি, তবে ওইদিন থেকেই উপত্যকাটিতে সব ধরনের ত্রাণ ও খাদ্য পণ্য প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে তারা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ