• শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০১:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
উখিয়ায় লাখো রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করলেন ড. ইউনূস ও গুতেরেস দুর্বৃত্তায়ন ঘটিয়ে সমাজকে পচা গলিত দুর্গন্ধময় করার চেষ্টা করা হয়েছে: রিজভী শান্তিচুক্তি করে দীর্ঘদিনের সংঘাত অবসানে প্রস্তুত আর্মেনিয়া-আজারবাইজান রাজশাহীতে দুই বিএনপি নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার ইউরোপের আশ্রয় আইন কঠিন হচ্ছে আফ্রিকায় পুনর্বাসন করতে চায় ফিলিস্তিনিদের যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল: এপি বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিকের নাটোরের সিংড়ায় এলজিইডির প্রকৌশলীর কাছে পাওয়া গেল ৩৭ লাখ টাকা খাদ্য সহায়তা থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছে মিয়ানমারে ১০ লাখ মানুষ কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দুটি সাইট পরিদর্শন প্রধান উপদেষ্টার

খাদ্য সহায়তা থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছে মিয়ানমারে ১০ লাখ মানুষ

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫
ত্রাণ সরবরাহে ব্যস্ত ডব্লিউএফপি কর্মীরা। ফাইল ছবি:

মিয়ানমারে খাদ্য সহায়তার জন্য তহবিল সংকটে পড়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। ফলে আগামী মাস থেকে দেশটির দশ লাখের বেশি মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া সম্ভব হবে না বলে শুক্রবার (১৪ মার্চ) সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, সংঘাত বৃদ্ধি এবং প্রবেশাধিকারে একাধিক নিষেধাজ্ঞার ফলে মিয়ানমারে এমনিতেই খাদ্য সহায়তা পৌঁছানো বেশ কঠিন। এরমধ্যে সহায়তা হ্রাসের কারণে সংকট আরও ঘনীভূত হবে।

তহবিল সংকটের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেনি সংস্থাটি। এছাড়া, এই সংকটের নেপথ্যে বিশ্বব্যাপী মার্কিন সহায়তা হ্রাসে ট্রাম্পের আদেশের প্রভাব রয়েছে কিনা, সেই বিষয়েও খোলাসা করেনি ডব্লিউএফপি।

মিয়ানমারে ২০২১ সালে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতায় আসে দেশটির সামরিক বাহিনী। ফলে দেশব্যাপী বিদ্রোহ দেখা দেয়। তখন থেকেই জান্তা সরকার ও বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে দেশটির মারাত্মক অস্থিতিশীলতার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে।

জাতিসংঘ মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের ধারণা, দেশটির প্রায় দুই কোটি মানবিক সহায়তা প্রয়োজন এবং প্রায় দেড় কোটি মানুষ চরম খাদ্য সংকটে আছে।

ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, এই খাদ্য সংকটের ফলে দেশজুড়েই মানুষ ভুক্তভোগী হবে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত এক লাখ রোহিঙ্গাসহ একাধিক গোষ্ঠীর মানুষ খাদ্যের জন্য পুরোপুরিভাবে ত্রাণের ওপর নির্ভরশীল।

সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা সামনের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মৌসুম নিয়ে গভীর উদ্বেগে রয়েছে। এই সময়ে চাষাবাদ প্রাকৃতিকভাবেই কম হয় বিধায় খাদ্য সংকটের ধাক্কা আরও তীব্র হতে পারে।

মিয়ানমারে খাদ্য সংকটের তীব্রতা কতটা ভয়াবহ তা স্পষ্টভাবে জানা যায় না। এর পেছনে জান্তা সরকারের প্রভাব রয়েছে। রয়টার্সে গত বছর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাদ্য সংকট নিয়ে গবেষকদের তথ্য সংগ্রহে ও খবর প্রকাশে ত্রাণ কর্মীদের বাঁধা দিয়ে থাকে জান্তা সরকার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ