• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৭ অপরাহ্ন

সাতক্ষীরা সদরের ফিংড়িতে মোটা অংকের টাকার বিনিময় ৫ ব্যক্তির নামে মন্দিরের প্রায় ১৮ বিঘা জমি রেকর্ড!!!

আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

এস কে কামরুল হাসান:

সাতক্ষীরা সদরের ফিংড়িতে মোটা অংকের টাকার বিনিময়৫ ব্যক্তির নামে মন্দিরের প্রায় ১৮ বিঘা জমি রেকর্ড করা হয়েছে।অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে দেখা গেল,মন্দির কমিটিকে ম্যােনজ করে মোটা অংকের টাকার বিনিময় এই জমি রেকর্ড কর্ হয়েছ বলে জ্না গেছে।ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জমি ব্যক্তির নামে রেকর্ড এটা কল্পনা করা যায়না।
দক্ষিন কালি মন্দিরের নামে যে১৮ বিঘা সম্পত্তি ছিল,কালি মন্দির তা বৃটিশ আমল থেকে ভোগ দখল করে আসছিল।
দীর্ঘদিন ধরে সনাতন ধর্মের লোকেরা এমন্দিরে পুজা পালন করে আসছিল।
এর মধ্যে মন্দির কমিটির সভাপতি প্রভাস চন্দ্র,সহসভাপতি কল্যান ঘোষ,সাধারন সম্পাদক গনেশও কোষাধক্ষ সুদীপ কুমার,মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে দক্ষিন ফিংড়ি গ্রামের অশোক এর পুুত্র শ্যামলকুমার, বিশ্বনাথ,রঘুনাথ সরদ্রের পুত্রসন্তোষ,দেবেন্দ্রনাথ সিংহের পুত্র কুজবিহারী ও কানাইলাল ঘোষের পুত্র তপন কুমারের নামে হাল রেকর্ড করে নিয়েছে।যার সাতক্ষীরা থানার বি আর এস খতিয়ান নং ৯, মৌজা ফিংড়ী,জে এল নং ১০৭।
মন্দির ডাঙ্গা আর বিলান দিয়ে ২১ টিভাগে মোট জমির পরিমান ১৮ বিঘা।গত৪/৮/১৭ তারিখে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেল,এই ভাবে মন্দিরের জমি রেকড হএয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে চাপাক্ষোভ বিরাজ করছে।সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় হল মন্দির কমিটি মোটা অংকের টাকা খেয়ে ৫ ব্যক্তির নামেরেকর্ড করে দিয়েছে।
এছাড়া এরাকাবাসী আরো জানায়,মন্দির দীর্ঘ১২ বছর ক্ষমতায় থেকে কোন প্রকার মিটিং সিটিং করেনি।বরং ১৮ বিঘা জমির হারির টাকা ৮০০০ টাকা হলে বছরে ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।তার মধ্যে মন্দিরের পুরোহিতদের দেয় ৫০০০০ টাকা।বাকী টাকা কোথায় গেছে কে জানে?এক কথায় মন্দিরের জমির বাৎসরিক টাকার কোন হিসাব নাই।লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। স্থানীয় যুবকরা মন্দিরের জমির হিসাব নিতে গেলে কমিটির সভাপতি প্রভাস চন্দ্র চন্দ্র,সেক্রেটারী যুবকদের হিমকি ধামকি দিয়ে থামিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে  মন্দির কমিটির সভাটতি প্রভাস চন্দ্রের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,। আমরা মন্দির কমিটি যখন জানতে পারি তখন রেকর্ড সংশোধনের জন্য ডি সি, অফিসে অভিযোগ দাখিল করেছি।তিনি হারির টাকা লেনদেনের কথা অস্বীকার করেন।
তবে এলাকার সচেতন মহলের দাবী, ব্যক্তির নামের রেকর্ড বাতিল করে মন্দিরের নামে রেকর্ড দেওয়া হোক।ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জমি নিয়ে যাতে প্রতারকরা ছিনিমিনি খেলতে না পারে তার জন্য উদ্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি অাকর্ষন করেছেন এলাকার জ্ঞানী, গুনিও সচেতন মহল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ