• রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:০১ পূর্বাহ্ন

যুবলীগের বিক্ষোভ মিছিল ও লিফলেট বিতরণ, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

মোঃ হাফিজুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : ড. মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানিয়ে গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট দল বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল ও লিফলেট বিতরণ করেছে।

কেন্দ্রীয় জেলা আওয়ামী লীগ পরিবারের ব্যানারে সুলতানপুর বড় বাজারে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক ওয়াহিদ পারভেজের নেতৃত্বে এ লিফলেট বিতরণ ও সড়কে ঝটিকা বিক্ষোভ মিছিল করে।

দুপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে লিফলেট বিতরণ ও বিক্ষোভ মিছিলের বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

প্রকাশিত ওই ছবি ও ভিডিওতে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক ওয়াহিদ পারভেজ, সাতক্ষীরা জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বিবিসি, জেলা তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ সহ বেশ কিছু নেতাকর্মীকে সকালে সুলতানপুর বড় বাজারে ব্যবসায়ীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ এবং বিক্ষোভ মিছিলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুসের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিতে দেখা যায়।

উল্লেখ্য গত ৩১শে ডিসেম্বর যুবলীগ নেতা পারভেজের নেতৃত্বে সাতক্ষীরা নবারুন বালিকা বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ওয়ালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে আলপনা ও দেয়াল লেখনের উপরে জয়বাংলা স্লোগান লিখে দেয়। এঘটনায় সাতক্ষীরার মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এরই রেশ কাটতে না কাটতেই আজ পহেলা ফেব্রুয়ারী সাতক্ষীরা বড় বাজারে লিফলেট বিতরণ করলেন পারভেজের নেতৃত্বে।

এঘটনায় সাতক্ষীরায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন, সুধীসমাজ, নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাতক্ষীরা জেলার নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশ ব্যাপী ছাত্রদের গণহত্যা, গুম খুম, পুলিশী নির্যাতনের ৬ মাস পার হলেও এখনো আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারে পুলিশের কোন তৎপর দেখা যায়নি। এরই মধ্যে সাতক্ষীরায় যুবলীগ ও শ্রমিকলীগের নেতাকর্মীরা লিফলেট বিতরণ ও বিক্ষোভ মিছিল করে ঐদ্ধ্যতা দেখাচ্ছে। যে কারনে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তারা কি নিরব থেকে আওয়ামীলীগের পক্ষ নিচ্ছেন। এ বিষয়ে আমরা পুলিশ প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার একটি আল্টিমেটামও দিয়েছি।

এ বিষয় জানতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মুহাম্মাদ মনিরুল ইসলামের কাছে ফোন করা হলে তিনি বলেন আমি মিটিং এ আছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ