লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি॥
রামগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মহিন উদ্দিন সুজনের অস্ত্র মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবীতে রোববার দুপুরে পৌর ও সরকারী কলেজ শাখা ছাত্রলীগ বিক্ষোভ সমাবেশ করে। রামগঞ্জ সরকারী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোরশেদ আমিন বাবুর সভাপতিত্বে কলেজ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা ছাত্রলীগ নেতা কামরুল হাসান তুহিন, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সহেল চৌকিয়া, পৌর সেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ন আহবায়ক সহিদ চৌকিয়া, আমিনুল ইসলাম, জুয়েল রানা প্রমুখ। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল পৌর শহরে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে কলেজ গেইটে গিয়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভকারী বক্তারা বলেন, উপজেলার হানুবাইশ গ্রামের গ্রামীন টাওয়ার নামক স্থানে বৃহস্পতিবার ১০টার দিকে মাইন উদ্দিন মিজি বাড়ি নুরনবী গংদের সাথে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিন উদ্দিন সুজন গংদের সম্পত্তি বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষ হয়। সৃষ্ট ঘটনা শুক্রবার বিকেলে নুরনবীর ভাইয়ের পুত্র ফরাদ হোসেন বাদী হয়ে মামলা করে। শনিবার দুপুরে সুজন হানুবাইশ মিরি বাড়ির সামনে জহিরের দোকানে গেলে সাদা পোষাকে পুলিশ ধাওয়া করে। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে সুজন দত্তের বাড়ির প্রবাসি আবুল খায়ের এর বসতঘরে আশ্রয় নেয়। পুলিশ প্রবাসীর ঘরের দরজা ভেঙ্গে সুজনকে গ্রেফতার করে ৩কিলোমিটার দুরে নিয়ে মধ্য ভাদুর খামার বাড়ির দিনমজুর বাচ্চু মিয়ার ঘরের পিছন থেকে একটি এলজি,৩রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। শনিবার রাতে থানার এস.আই কাওসার বাদি হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা দিয়ে রোববার দুপুরে আদালতে পাঠায়।
সুজনের বোন সুমী, মা শিরিন বেগম সহ কয়েকজন বলেন, মামলার বাদি পরিকল্পিত ভাবে অস্ত্র রেখে পুলিশকে ম্যানেজ করে সুজনকে গ্রেফতার, অস্ত্র উদ্ধার ও থানা রেখে নির্যাতন করে।
খামার বাড়ির গৃহবধু কহিনুর বেগম বলেন, পুলিশ লাকড়ির ভিতর থেকে অস্ত্র বাহির করেই সুজনকে মারধরের মাধ্যমে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সহেল বলেন, দলের অভ্যান্তরিন কোন্দলের কারনেই পুলিশ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিন উদ্দিন সুজনকে গ্রেফতার ও অস্ত্র মামলা গ্রেফতার দেখায়।
রামগঞ্জ থানার এস.আই মোঃ কাওসার বলেন, ফরাদ হোসেনের দায়ের করা মামলাতে অস্ত্র মহড়ার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। মামলার প্রধান আসামী সুজনকে গ্রেফতার করার পর স্বীকারোক্তিতে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।