বিতর্ক আর সমালোচনা যেন পিছুই ছাড়ছে না এবারের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারের। এবার সেই সমালোচনায় যোগ দিয়েছেন খোদ পুরস্কারপ্রাপ্তদের একজন, লেখক অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান। পুরস্কার গ্রহণের পরদিনই এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, বাংলা একাডেমি যদি আদব-কায়দা না জানে, আমাদের কী করার আছে!
এর আগে, শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাতজনের হাতে এবারের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার তুলে দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে সে সময় উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীও। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। পুরস্কার প্রদানের পর হয় ফটোসেশন পর্ব, যেখানে অতিথিদের পেছনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় পুরস্কারপ্রাপ্তদের।
মূলত, এ নিয়েই রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বরে জাতীয় কবিতা পরিষদের এক অনুষ্ঠানে এসে ক্ষোভ ঝেড়েছেন সলিমুল্লাহ খান। তিনি বলেন, বাংলা একাডেমির পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান নিয়ে অনেকে ট্রল করছে। আমাকে জিজ্ঞেস করছে, ছাত্রদের সামনে বসিয়ে আপনারা পেছনে দাঁড়িয়েছিলেন কেন। আমি বলেছি, তারা ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে বসেছে। বাংলা একাডেমি যদি মানুষকে সম্মান প্রদর্শন করতে না জানে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করব নাকি? তাদের আদব-কায়দা যদি না থাকে, আমরা কী করব?
পুরস্কার গ্রহণ নিয়ে সমালোচনার জবাবে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, লোকজন বলছে, আপনি পুরস্কার নিলেন কেন? আরে…পুরস্কার নেওয়ার পরেই তো বেইজ্জতটা করেছে।
বাংলা একাডেমি এবং আয়োজকদের সমালোচনা করে এ লেখক বলেন, এখানেও দাসত্বের অবসান করতে হবে। দাসত্বের অবসান করতে হলে সবাইকে এক করতে হবে। ২৪ এর আন্দোলনের মূল বৈশিষ্ট্য ছিল বৈষম্যবিরোধী, এটা ‘সাম্য’ কথাটারই একটি অনুবাদ।
এর আগে, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ঘোষণার পর নামের তালিকায় কয়েকজনকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হলে সেই তালিকা স্থগিত করে বাংলা একাডেমি। তারপর তিনজনের নাম বাদ দিয়ে বাকিদের রেখে নতুন করে ঘোষণা করা হয় পুরস্কারের তালিকা। সমালোচনা চলছে এ বিষয়টি নিয়েও।