চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি॥
চাঁপাইনবাবগঞ্জে একজন বিবাহিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী (অন্ধ) নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্য়াতন দমন আইনে দায়েরকৃত একটি মামলার একমাত্র আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে আরো ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদাণ করেছেন আদালত। ধর্ষণ মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তি হচ্ছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার রেহাইচর-টিকরামপুর মহল্লার মো. মোজাহারের ছেলে কামরুল ইসলাম ওরফে কাইমা চোর (৪৩)। রোববার বেলা সোয়া ১১টায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়াউর রহমান আসামির উপস্থিতিতেই এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার বিবরণে ও সরকারি কৌশুলি আঞ্জুমান আরা বেগম মামলার বরাদ দিয়ে জানান, ২ বছর পূর্বে বিয়ে হলেও পিতার বাড়ীতে একা বসবাসকারী ঘটনার শিকার মোসা. জেরিনা খাতুন নামের ওই অন্ধ বিবাহিতা নারীকে দীর্ঘদিন ধরে কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিল একই মহল্লার ধর্ষক কাইমা। আর এতে রাজী না হওয়াই ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট রাত ১১ টার দিকে বাবার বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকা জেরিনার ঘরের জানালার লোহার রড ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে আসামী কামরুল জেরিনাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় ওই নারীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে আসামি কামরুল ইসলাম পরনের লুঙ্গি, টিশার্ট ও স্যান্ডেল ফেলে পালিয়ে যান। এদিকে ওই নারী অন্ধ হলেও ধর্ষকের কন্ঠস্বরে চিনে ফেলেন। এ ঘটনায় জেরিনার চাচাতো ভাই মো. রাজ্জাক বাদী হয়ে ঘটনার দুইদিন পর ৫ আগষ্ট কামরুল ইসলাম ওরফে কাইমা চোরকে অভিযুক্ত করে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতাউর রহমান একই বছরের ২৮ ডিসেম্বর কামরুল ইসলামকে একমাত্র অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর প্রেক্ষিতে ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানী শেষে আদালত রোববার মামলার রায় ঘোষণা করেন। আসামী পক্ষে ছিলেন আ্যাড. মাহবুবব আলম জুয়েল। এদিকে অর্থদন্ডের টাকা ধর্ষিতা প্রাপ্য হবেন বলে জানান আদালত।