• মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:৪১ পূর্বাহ্ন

দেশের তৃতীয় বৃহত্তম তিস্তা সড়ক সেতু হুমকির মুখে

আপডেটঃ : সোমবার, ১৯ মার্চ, ২০১৮

রংপুর প্রতিনিধি॥
অপরিকল্পতিভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছেদেশের তৃতীয় বৃহত্তম তিস্তা সড়ক সেতুর পাশ থেকে। এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত সেতুটি। বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের বিভিন্ন দফতারে অভিযোগ দাখিলও করা হয়েছে। তার পরেও বন্ধ হচ্ছে না বালু উত্তোলন, সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার ৫ নং বালাপাড়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের নিজপাড়া এলাকায় তিস্তা সড়ক সেতুর পাশে (পূর্বে) ৭টি স্থানে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ৫০/ ৬০ ফিট গভীর করে ২ মাস থেকে একই স্থান থেকে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা। অনবরত বালু উত্তোলন করায় তিস্তা সড়ক সেতুর আশ পাশের বাঁধে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। সেতুর গুরুত্ব তোলে ধরে নিজপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী কফিল উদ্দিন প্রামাণিক জানান, হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে রংপুরের কাউনিয়া এবং লালমনির হাটের তিস্তা এলাকায় ২০১২ সালে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম তিস্তা সড়ক সেতু নির্মিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্ধোধন করেন একই সালে । এতে কয়েক লাখ মানুষ উপকৃত হয়েছে। এই সেতুর পাশ থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ না করলে সেতুটি হুমকির মধ্যে পড়বে। সালেক মিয়া তিস্তা নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। সেতুর আশপাশ থেক বালু উত্তোলন করায় তিনি ক্ষোভের সাথে জানান, যে করেই হউক সেতু রক্ষা করতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বালু উত্তোলন বন্ধ না অভিযোগ দাখিল করা হবে জেলা প্রশাসক বরাবর । বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে সেতু পাড়ে মানববন্ধন করা হবে জানিয়ে একই এলাকার রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইকবাল হোসেন বলেন, সরকার সেতুটি নির্মাণ করায় লাখো মানুষ উপকৃত হযেছে। সেই সেতু হুমকির মধ্যে থাকবে তা মানা যায় না। স্থানীয় প্রশাসন আন্তরিক হলেই বন্ধ হবে বালু উত্তোলন জানিয়ে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, সেতু রক্ষায় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সাবেক ইউপি সদস্য ভোলা নাথ জানান, বালু উত্তোলনের ফলে তিস্তা সড়ক সেতুর পাশপাশি সর্ববৃহৎ শ্মাশানটিও হুমকির মধ্যে রয়েছে। বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে তাদের শ্মশানটি রক্ষা করা যাবে না। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নেয়ার কথা বলেন ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী । স্থানীয়রা জানান, ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখায় সেতুর পাশাপাশি এ পর্যন্ত ১০০শতক ফসলি জমি ভাঙ্গনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে এইসব এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গনের কবলে পড়তে পাড়ে তারা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( চলতি দায়িত্ব) ফাওজুল কবির জানান, যারা সেতুর পাশ থেকে বালু উত্তোলন করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ