• মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৫১ পূর্বাহ্ন

রংপুরে সবজির দাম অপরিবর্তিত

আপডেটঃ : শনিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৮

রংপুর অফিস॥
এখন সাধারণের নাগালের মধ্যে এক-দুইটি বাদে সব সবজির দাম । আগের সপ্তাহের মতোই এখনও অধিকাংশ সবজি প্রতি কেজি ৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। সেই সঙ্গে পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচের দামও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে। গতকাল শনিবার  রংপুর সিটি বাজার, সাতমাথা বাজার, কামালকাছনা বাজার ও টার্মিনাল বাজার  ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। রংপুরের বাজারগুলোতে এখন ছোট আকারের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। পাতাকপিও পাওয়া যাচ্ছে প্রতি পিস ১০ টাকায়। টমেটো পাওয়া যাচ্ছে ২০ টাকা কেজি দরের মধ্যে। তবে গ্রীষ্মের সবজি সজিনা, পটল, করলার দাম বেশ চড়া। সজিনা ১শ’ টাকা, করলা ৪০ টাকা, পটল ৫০ টাকা ও ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা  কেজি দরে।  এছাড়াও বেগুন ২০  থেকে ২৫ টাকা, মুলা ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচমরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা,লাউ পাওয়া যাচ্ছে প্রতি পিস ১৫ থেকে ২০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে এই পণ্যটির দাম ছিল ৮০ টাকার বেশি। এদিকে নতুন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। আর আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ৩০ টাকা। গত সপ্তাহেই দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছিল। এখনও সেই দামেই বিক্রি হচ্ছে। সাতমাথা বাজার ব্যবসায়ী রাজু আহম্মেদ,খোকা মিয়া জানান, আমরা আড়ৎ থেকে এখন কম দামে পেঁয়াজ আনতে পারছি। সে কারণে কম দামে বিক্রি করতে পারছি। এখন বাজার নতুন পেঁয়াজে ভরপুর, তাই দাম কমে গেছে। রংপুর  সিটি বাজারের পাইকারী পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মনির হোসেন জানান, ভাল মানের দেশি  পেঁয়াজ আগের সপ্তাহের মতই ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা পাল্লা (৫ কেজি) বিক্রি হচ্ছে। আর সব থেকে ভালো মানের ভারতীয় পেঁয়াজের পাল্লা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। এদিকে এক কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে। এ বিষয়ে সবজি ব্যবসায়ী মোত্তালেব হোসেন বলেন, এখন আর এক কেজি মরিচ কিনতে ১শ’ টাকা খরচ হয় না। এখন ১শ’ টাকায় এক পাল্লা মরিচ কেনা যায়। মূলত বাজারে মরিচের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় দাম এতো কম। সবজি, কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজের এমন দামে স্বস্তি প্রকাশ করে সিটি বাজারে করতে আসা গৃহিনিী সালমা আক্তার বলেন, কিছুদিন আগে তো সব সবজির দামই বেড়েছিল। আমরা মনে করছিলাম দাম আর কমবে না। তবে এখন দেখছি দাম কমেছে। সবজির দাম এমন থাকলে আমাদের মতো মধ্যবিত্তরা সবজি খেয়ে কিছুটা শান্তি পাবে। দাম কমার বিষয়ে কামাল কাছনা বাজারের সবজি বিক্রেতা জামাল উদ্দিন বলেন, বাজার এখন বিভিন্ন ধরণের সবজিতে ভরপুর। যে কারণে দাম কম। তবে আর ক’দিন গেলেই শীতের সবজি পাওয়া যাবে না। তখন সবজির দাম কিছুটা বাড়তে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ