• মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:০৪ অপরাহ্ন

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভ্যান দালালের দৌরাত্ব, সাধারণ রোগীরা পড়েছে বেপাকে !!!

আপডেটঃ : রবিবার, ২৫ মার্চ, ২০১৮

এস কে কামরুল হাসান(সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি॥
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে বেপরোয়া ভ্যান দালালেরা। ডাক্তারদের পাতানো ক্লিনিকে রোগী নেওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত এই সব ভ্যান দালালরা। গ্রাম থেকে অতি কষ্টে রোগ নিরাময়ের জন্য রোগীরা আসে শহরে সদর হাসপাতালে । হাসপাতালে এসে জরুরী বিভাগে নাম লেখায় । হাসপাতালে অতিরিক্ত ভিড় থাকায় রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিতে একটু দেরি হয়ে যায় । এই ফাঁকে ভ্যান দালালরা বিভিন্ন সুবিধা দেখিয়ে ডাক্তারদের নিজর্স্ব ক্লিনিকে ভর্তি করিয়ে দেয় । ২৪.০৩. ১৮ তারিখ শনিবার সকাল ১১ টায় সরেজমিনে দেখা যায় , সদর হাসপাতালের গেটের মূখ থেকে শুরু করে প্যাথলজি বিভাগ পর্যন্ত সাজানো রয়েছে অসংখ্য ইজিবাইক ও ব্যাটারি ভ্যান । এসব ইজিবাইক ও ব্যাটারি ভ্যান সারাক্ষণ রোগীদের নিয়ে বানিজ্য করে চলেছে । নাম প্রকাশ না করার শর্তে শ্যামনগর থেকে আসা এক ব্যাক্তি এই প্রতিবেদক কে জানিয়েছেন , আমার মেয়ের পেটের নাড়ি বৃদ্ধি হয়েছে । আমি এটা কাটার জন্য হাসপাতালে এসেছিলাম । আসার পর জরুরী বিভাগে এবং অপারেশন করার জন্য অনেক দেরি হয় । এই সময় বিভিন্ন ভ্যান দালালরা আমাদের সুবিধার কথা যানিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে । আমরা অতিশয় গরিব মানুষ । তাই সদর হাসপাতালে সরকারি চিকিৎসা নেওয়ার জন্য হাসপাতালে এসেছি। তিনি আরো বলেন , জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীরা আসেন । হাসপাতাল মোড়ে নামার সাথে সাথে রোগীদের পিছু লাগে এসব ভ্যান দালালরা । নাম প্রকাশ না করা শর্তে একটি নির্ভর যোগ্য সূত্র থেকে জানা যায় বেসরকারি ক্লিনিকে রোগী ভর্তি করার সাথে সাথে ভ্যান দালালরা পায় দুইশত থেকে পাঁচশত টাকা পর্যন্ত । হাসপাতাল চত্তরে থাকা ইজিবাইক চালক ঝাউডাঙ্গা গ্রামের আক্তারুলের ছেলে এই প্রতিবেদক কে জানায় , আমি ভাড়া পাওয়ার জন্য এই খানে অবস্থান করছি । ইজিবাইক চালক কাটিয়া লস্কর পাড়ার এলাকার আব্দুর লতিফের ছেলে আশরাফুল এই প্রতিবেদক কে বলেন , আমরা দুই একটা ভাড়া পাওয়ার জন্য এই খানে অবস্থান করছি । ইজিবাইক চালক রসুলপুর গ্রামের এলাকার মোবারকের ছেলে রেজাউল আরো জানায় এই হাসপাতালের অন্যান্য ইজিবাইক চালকরা এই অপরাধের সাথে জড়িত আছে  এই ব্যাপারে সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা: তৌহিদুর রহমানের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন , আমি মিটিংয়ে আছি । পরে আপনাকে ফোন করছি । এই বলে ফোন টি কেটে দেন ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ