বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ভুঁইফোর অনলাইন নিউজ পোর্টালের মিথ্যা ও বানোয়াট রিপোর্টের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক বিএনপির সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে। আসলে সরকার আর্থিক খাত ধ্বংস করে টাকা লুট করেছে। দুর্নীতিতে আজকে একদলীয় হয়ে গেছে। ২৫টি অনলাইন পোর্টাল খুলেছে আওয়ামী লীগ একদলীয় প্রচারণার জন্য। বিরোধী রাজনীতির মতামতকে ধ্বংস করতে। কারণ ইতোমধ্যে তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করছে শুধু ক্ষমতা দখলের জন্য।
মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) দুপুরের দিকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে বাধাদান এবং বিএনপিকে কালিমালিপ্ত করতেই আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। যা মিথ্যা বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এটা অপপ্রচার। এর সাথে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নাই। এমনকি আমাকে নিয়ে ডাচ বাংলা ব্যাংকের যে হিসাব একাউন্টের কথা প্রথমে বাংলা ইনসাইডার পরবর্তীতে দুদক যে অভিযোগ আমলে নিয়েছে তাও ভিত্তিহীন। কারণ আমি এমনকি আমার পরিবারের কোনো সদস্যের ডাচ বাংলা ব্যাংকে কোনো একাউন্ট অতীতেও ছিল না, এখনও নাই। তাই সরকার ও দুদককে আমার ডাচ বাংলা কোনো ব্যাংকের ব্রাঞ্চে আমার হিসাব খোলা হয়েছে, কতটাকা গচ্ছিত রয়েছে তা জানানোর দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘বাংলা ইনসাইডার’ কে বা কারা চালায় আমরা জানতে চাই। এই নির্জলা মিথ্যাচারের প্রোপাগান্ডা পোর্টাল কী গোয়েন্দা সংস্থার কোনো প্রতিষ্ঠান নাকি সরকারের তা পরিষ্কার ব্যাখা দেয়া দরকার। কেননা কথিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল যে রিপোর্ট বেশকিছু দিন পূর্বে প্রকাশ করেছে গতকাল সেই রিপোর্ট আমলে নিয়ে দুদকও প্রাথমিক ভাবে যে হ্যান্ডনোট দিয়েছে তা কখনও একটি দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান দিতে পারে না।’
দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতেই দুদককে কাজে লাগানো হচ্ছে। হঠাৎ করে বিএনপির সিনিয়র নেতা ও তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে অবৈধ টাকা লেনদেনের অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিত, যা মিথ্যা এবং বানোয়াট।
তিনি বলেন, ‘আসলে সরকার দুদককে দিয়ে নতুন প্রকল্প খুলেছে। তারা আবারো একটি ভোটারবিহীন নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু সেটা তারা করতে পারবে না।’