শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে এখন বিদেশে নেয়ার প্রয়োজন নেই বলে মনে করছেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. শামসুজ্জামান। রবিবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এই মুহূর্তে উনাকে বিদেশ নেয়ার প্রয়োজন নাই।
তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে যে তিনজন চিকিৎসক শনিবার খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন, তাদের মতামত পেলে মেডিকেল বোর্ড পরবর্তী পদক্ষেপে যাবে বলে জানান ডা. শামসুজ্জামান।
এদিকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল হারুন জানান, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন তারা আজই (রবিবার) কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা হওয়ার পর গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদাকে রাখা হয়েছে নাজিমউদ্দিন রেডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে। সম্প্রতি খালেদা জিয়ার অসুস্থতার খবরে তার চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অধ্যাপক মো. শামসুজ্জামান ওই মেডিকেল বোর্ডের প্রধান।
গত শুক্রবার কারাগারে গিয়ে খালেদাকে দেখে এসে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ম্যাডামের স্বাস্থ্য খুব একটা ভালো নয়’। ওই মেডিকেল বোর্ডেকে ‘লোক দেখানো’ আখ্যায়িত করে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের মাধ্যমে খালেদার চিকিৎসা করানোর দাবি জানানো হয় বিএনপি পক্ষ থেকে। এরপর শনিবার খালেদাকে কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে নেয়া হলে তার পছন্দের কয়েকজন চিকিৎসক সেখানে তাকে দেখেন। তারা হলেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ মামুন, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এফ এম সিদ্দিকী ও নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ওয়াহিদুর রহমান। অন্যজন কারাগারের এক চিকিৎসক।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে খালেদার এক্সরেও করা হয়। দুই ঘণ্টা হাসপাতালে থাকার পর খালেদাকে আবার কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া হয়। বিএসএমএমইউইয়ের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল হারুন সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি নেত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন তারা বেলা পৌনে ১টার দিকে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। প্রতিবেদনে কী আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা বলতে পারব না। প্রতিবেদন সিলগালা করে আমরা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে দিয়েছি। তারা খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত বিশেষ মেডিকেল বোর্ডের কাছে এই রিপোর্ট জমা দেবেন। রিপোর্ট অনুযায়ী মেডিকেল বোর্ড চিকিৎসা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।