তানোর ‘রাজশাহী’ প্রতিনিধি॥
রাজশাহীর তানোরে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একশ্রেণীর শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে তালিকা আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে গুঞ্জন বইছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, তানোরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একশ্রেণীর শিক্ষক-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ফেন্সিডিল ও ইয়াবা সেবনের পাশাপাশি এসব ব্যবসায় অর্থ বিনিয়োগ, দাদন ব্যবসা ও শিক্ষার্থীদের যৌনহয়রানির অভিযোগ রয়েছে। এসব শিক্ষক-কর্মচারীদের চিহ্নিত ও তালিকা প্র¯ত্তত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসব শিক্ষক-কর্মচারীদের চিহ্নিত করতে নতুন পরিকল্পনা ও কৌশল নিয়ে মাঠে নেমেছে বলে এলাকার মানুষের মধ্যে আলোচনা বা প্রচার রয়েছে। এসব প্রচারের পর থেকেই এলাকার অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও সাধারণের মধ্যে পরম স্বস্তি বিরাজ করছে, তবে চরম অস্বস্থিতে রয়েছে একশ্রেণীর শিক্ষক-কর্মচারি বলেও এলাকায় জনশ্র“তি রয়েছে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তালিকায় মেধা শূণ্য অথচ রাজনৈতিক বিবেচনা ও অর্থের বিনিময়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন, শিক্ষক হয়েও মাদক সেবন বা ব্যবসায় অর্থ বিনিয়োগ, দাদন ব্যবসা অথবা পরোক্ষভাবে মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে, বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের শারীরিক নির্যাতন ও যৌনহয়রানি করেছে এমন শিক্ষকদের নাম অর্ন্তভুক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কারণ এসব শিক্ষকের অপকর্মের জন্য অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী মাঝ পথে লেখা পড়া বন্ধ করে দিয়ে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নষ্ট করেছে। অথচ অভিভাবকগণ সমাজে লোকলজ্জার ভয়ে এসব গোপণ করে রাখেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, চৌবাড়িয়া এলাকার শিক্ষক জনৈক শাহিন মাস্টার ওরফে বাবা শাহিন, কলমা এলাকার শিক্ষক জনৈক হারুন অর রশিদ ওরফে ড্যাল হারুন, কালীগঞ্জহাট এলাকার শিক্ষক জনৈক শফিকুল ইসলাম ওরফে ট্যাবলেট শফি ও তালন্দ এলাকার কলেজ শিক্ষক দিলীপ প্রমূখ মাদক সেবীদের অন্যতম। এরা নামেই শিক্ষক কোনো মতে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেই ছোটে মাদকের সন্ধানে। জনৈক শাহিন মাস্টারের বিরুদ্ধে ইয়াবা ও ফেন্সিডিল বিক্রির শক্ত অভিযোগের প্রচার আছে। এরা ফেন্সিডিল ও ইয়াবাসহ মাদক সেবনে এতোটাই বেপরোয়া যে এদের কারণে তানোরের পুরো শিক্ষক সমাজের সুনাম নস্ট হতে চলেছে। সরেজমিন অনুসন্ধান করলেই এসব শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঙ্খাপিত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে। তানোরের কলমা উচ্চ বিদ্যালয় ও চৌবাড়িয়া মালশিরা উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলেন, এরা শিক্ষক নামের কলঙ্ক, তাদের এসব অপকর্মের কারণে আমাদের শিক্ষক পরিচয় দিতে লজ্জা হয়। এব্যাপারে তানোর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বলেন, এমন তালিকা বা উদ্যোগের কথা তার জানা নাই। তিনি বলেন, এমন তালিকা বা উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে সেটা শিক্ষক সমাজের জন্যই ভালো হবে।