বিএনপিই সরকারের বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ এমপি। সোমবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার গ্লোবাল উইমেন্স লিডারশীপ অ্যাওয়ার্ড’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘বিএনপির বিরুদ্ধে সরকার অপ-প্রচার চালাচ্ছে’ বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, আসলে অপ-প্রচারটা তারাই করে। তারা (বিএনপি) গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিক ভাবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, সজিব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং আমরাসহ প্রত্যেকের বিরুদ্ধে যেইভাবে অপ-প্রচার করছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারেক রহমান ও রুহুল কবির রিজভীর সম্পর্কে বেগম খালেদা জিয়ার যেই কথাগুলো বেরিয়ে এসেছে সেগুলোর লজ্জা ঢাকার জন্যই গতকাল রুহুল কবির রিজভী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। প্রকৃতপক্ষে মিথ্যা অপ-প্রচার চালানোর ক্ষেত্রে এখন রুহুল কবির রিজভী এবং মির্জা ফখরুল ইসলামের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের অাচরণবিধি বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনি প্রচারণার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের বিধি বিধানের কারণে আওয়ামী লীগ বৈরিতার স্বীকার। যেখানে আওয়ামী লীগের কোন এমপি, মন্ত্রী নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারে না। সেখানে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, এমপিরাও নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারে। বাংলাদেশে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এমপিরা প্রচারণা করতে পারে না। এমপিরা শুধুমাত্র সরকারি ভাতা পান, বেতন বা অন্যকোন সুযোগ সুবিদাও পাননা। নির্বাচন কমিশনের বৈষম্যমূলক অাচরণ বিধির কারণে এমপিরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারছে না। বিএনপিই বরং বাড়তি সুবিধা ভোগ করছে। বিএনপির সাবেক মন্ত্রীরা এমনকি মির্জা ফখরুল ইসলামেরও প্রচারণা করার ক্ষেত্রে কোন বাধ্যবাধকতা নাই। অথচ আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদকসহ কোন এমপি, মন্ত্রীই নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারছে না। আমরা আশা করবো এই বৈষম্য দূর করা হবে।
সংগঠনের সভাপতি জিন্নাত আলি জিন্নাহ’র সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাড. কামরুল ইসলাম এমপি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েলসহ প্রমুখ।