সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি॥
জামালপুরের সরিষাবাড়িতে ইউপি চেয়ারম্যানের দেয়া অবৈধ বাধের কারনে শত শত একর ভ’মির ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে বাধ ভেঙ্গে দিয়েছে এলাকাবাসি। ফলে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে হাজার হাজার একর জমির ফসল ও কৃষকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার আওনা ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল হোসেনের নির্মিতি বাধে কৃষকের শত শত একর ভুমির ধান পানিতে ভাসছে। ধান রক্ষায় বাধ বিনষ্টে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, চেয়ারম্যান তার ব্যবসার সার্থে কৃষকের লাগানো শত-শত একর জমির ফসলের দিকে না তাকিয়ে তার ইট ভাটার মাটি কাটার জন্য প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামের জনগনের কয়েকটি বিলের পানি নিস্কাশন গোয়াল বাথান বিলের মাঝে বাধ নির্মাণ করেন। যার কারনে ঢুরিয়ার ভিটা, পাখিমারা, টিকরা পাড়া, নাথের পাড়া, গোয়াল বাথানসহ বিভিন্ন গ্রামের জনগনের শত শত একর জমির পাকা ধান বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। এলাকাবাসীরা দীর্ঘ ১৫ দিন চেয়ারম্যানের নিকট বাধটি ভেঙ্গে দেওয়ার অনুরোধ জানানোর পরও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বৃহস্পতিবার সকালে পোগলদিঘা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ ইসহাক আলীর নেতৃত্বে মসজিদে মসজিদে মাইকে সকল কে আহব্বান করে ভুক্তভোগী ও এলাকার জনগনকে সাথে নিয়ে বাধটি ভেঙ্গে ফেলেন। যার কারনে কিছুটা হলেও ফসল রক্ষা করতে পেরেছেন তারা।
এ ব্যাপারে পোগলদিঘা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার ইসাহাক আলী বলেন, সরকারী খালে দেয়া অবৈধ বাধের কারনে আমাদের হাজার হাজার একর জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। আমরা বার বার চেয়ারম্যান বেলাল হোসেনকে বলা সত্তেও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ফলে আমরা এলাকাবাসী আমাদের ফসল রক্ষার্থে বাধটি ভেঙ্গে দিয়েছি।
এ ব্যাপারে আওনা ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাকে এই সমস্যার কথা কখনো কেউ বলেনি। বাধের কারনে জমির ফসল তলিয়ে যাওয়ার কথা এলাকাবাসী জানালে আমি নিজেই বাধটি ভেঙ্গে দিতাম।