আগামী এক মাসের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে নতুন করে এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে। ইতিমধ্যে সার কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। রমজানে প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরররাহ করার সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বিদ্যুতের অপচয় রোধে এবং রোজার মাসে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে আগামী রবিবার থেকে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। যারা আবাসিক বাসা-বাড়িতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করছেন, তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।
বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ ভবনে গ্রীষ্ম মৌসুম ও আসন্ন রমজানে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সিদ্ধান্ত হয়, অবৈধ সংযোগ ছাড়াও প্রতিবছরের মতো রোজায় সিএনজি স্টেশন বিকাল পাঁচটা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টা বন্ধ রাখা হবে। অতিরিক্ত আলোকসজ্জ্বা না করা, ইফতার ও তারাবির সময় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) ব্যবহার সীমিত রাখতে হবে।
সভায় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে চলতি মাসের মধ্যে আরও এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। বিদ্যুৎ বিভ্রাট রোধ করতে সাবস্টেশনগুলোর ক্যাপাসিটি বাড়ানো হচ্ছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হবে। সেগুলো হচ্ছে- রোজার মাসে দোকানপাট, বিপণী বিতান খোলা রাখার বিষয়ে বিদ্যমান বিধিবিধান অনুসরণ করা, বিদ্যুতের সর্বোচ্চ ব্যবহারের সময় সন্ধ্যাবেলা রি-রোলিং মিল, ওয়েল্ডিং মেশিন, ওভেন, ইস্ত্রির দোকানসহ বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী সরঞ্জাম ব্যবহার বন্ধ রাখা, সুপার মার্কেটে, পেট্রোল পাম্পে, সিএনজি স্টেশনে অতিরিক্ত বাতি ব্যবহার বন্ধ রাখা, ইফতার ও সেহেরির সময় শপিং মল, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে এসির ব্যবহার সীমিত রাখা।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ, পিডিবির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ।