রাজশাহী তানোর প্রতিনিধি॥
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী’) সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুন্ডুমালা পৌর মেয়র গণমানুষের নেতা গোলাম রাব্বানিকে ঘিরে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূলের অভিমত এই আসনে এবার গোলাম রাব্বানি দলীয় মনোনয়ন পেলেই এমপি নির্বাচিত হবেন। ইতমধ্যে তাকে ঘিরে জনমানুষের বিপুল সাড়া ও উৎসাহ-উদ্দীপনায় তাঁর সেই সম্ভবনা দেখা গেছে। তৃণমূল থেকে উঠে আশা আদর্শিক নেতা বলতে যা বোঝায় রাব্বানি সেই গুনের অধিকারী। রাজনৈতিক বিশ্লষকদের অভিমত, যে কোনো রাজনৈতিক দলের কাছেই গোলাম রাব্বানি অমূল্য সম্পদ। কারণ যে কোনো রাজনৈতিক দলের মনোনয়নে দলীয় প্রতিকে তিনি নির্বাচন করলে তার বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের বিশাল ভোট ব্যাংক ও প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী মাহাম পরিবারে বনার্ঢ্য সামাজিক পরিচিতি ও বিশাল জনসমর্থন কাজে লাগাতে পারলেই রাব্বানি এমপি। এসব বিবেচনায় রাব্বানির মনোনয়ন প্রত্যাশার দাবির প্রতি প্রতিনিয়ত জনসমর্থন বাড়ছে বৈ কমছে না। এঝাড়াও তরুণ, মেধাবী, আদর্শিক ও পচ্ছিন্ন ব্যক্তি ইমেজের পাশপাশি তিনি নির্বাচনী এলাকার মধ্যবর্তী এলাকা থেকে একমাত্র মনোনয়ন প্রত্যাশী হওয়ায় সব কিছু তার অনুকুলে রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী তথা বৃহত্তর বরেন্দ্র অঞ্চলের অন্যতম রাজনৈতিক সচেতন ও সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে গোলাম রাব্বানির জন্ম এবং বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী। ব্রিটিশ আমল থেকে এখানো গোলাম রাব্বানির পরিবারের কেউ না কেউ জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গোলাম রাব্বানির দাদা প্রয়াত হাজী কবির উদ্দীন মন্ডল পঞ্চায়েত প্রধান ও ইউপি প্রেসিডেন্ট হিসেবে এক টানা প্রায় ৩৫ বছর নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার হাত ধরেই তার পুত্র প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ আলী মাহাম পাচন্দর ইউপির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ও ৭৫ থেকে ৯২ সাল পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি প্রায় সাড়ে ৮ একর সম্পত্তি দান করে ফুটবল মাঠ তৈরী ও সাড়ে ৩ একর সম্পত্তি দান করে সেখানে একটি প্রাথমিক ও একটি উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করেছেন। আবার কলমা ইউপির কন্দপুরে তিন একর জমি দান করে কন্দপুর স্কুল নির্মাণ করেছেন। তার হাত ধরেই তার সুযোগ্য পুত্র গোলাম রাব্বানী দু’বার পাচন্দর ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এবং পরবর্তীতে দু’বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়ে এখানো দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। তিনিও প্রায় সাড়ে ৩ একর সম্পত্তি দান করে সেখানে প্রকাশ আদর্শ গ্রাম করেছেন। এছাড়াও তিনি প্রায় ১০ বছর ধরে রাজশাহী জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বপালন করেছেন। তিনি ছাত্র জীবনে রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তানোর-গোদাগাড়ীর রাজনৈতিক অঙ্গনে বহুল আলোচিত নাম গোলামা রাব্বানি, দলমত নির্বিশেষে সবার কাছে তিনি ‘রাব্বানি ভাই’ বলে পরিচিত, সবার কাছে তিনি একজন সৎ নেতা ও রাজনীতিকের প্রতিকৃতি, এই অঞ্চলের মানুষ রাজনীতিতে সৎ নেতার উদাহারণ দিতে গিয়ে সবার আগে গোলাম রাব্বানির নামটি উচ্চারণ করেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি যেমন বিলাস বিমূখ সাদামাটা, তেমনি কর্মী ও জনবান্ধব রাজনৈতিক নেতা হিসেবেও সর্ব মহলে প্রশংসিত। তাঁর কার্যালয় বা বাড়িতে গিয়ে অন্তত্ব এক কাপ চা পান করেননি এলাকায় এরকম একজন মানুষকেও খুঁজে পাওয়া দুঃস্কর। আবার বিভিন্ন আবদার নিয়ে তার কাছে গিয়ে তার আচরণে দুঃখ-কষ্ট পেয়েছেন এমন এক জনকেও খুজে পাওয়া যাবে না। এমনকি বিরোধীমতের রাজনৈতিক দলের নেতা ও কর্মী-সমর্থকরা ‘রাব্বানি’ ভাই সম্বোধন করে খুব সহজেই তার কাছে গিয়ে যে কোনো সমস্যা তুলে ধরে সহযোগীতা চাইতে পারেন। রাব্বানি এখনও তার নেতৃত্বের গুণে সফল নেতা হিসাবে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের কাছে সমান জনপ্রিয়। এসব সংগঠনের নেতাকর্মীরা এখনো তকেই তাদের প্রতিনিধি মনে করেন এবং তাদের যে কোনো সমস্যায় ছুটে আসেন তাঁর কাছেই। সমস্যার সমাধান পাওয়া না পাওয়া বড় কথা নয়, কিšতু রাব্বানি তাদের কথা শুনেন, চেস্টা করে সেটা পুরুণের না পারলেও কখনো কউকে কস্ট দিয়ে কথা বলেন না বরং নিজে না পারলেও পথ দেখিয়ে দেন। রাব্বানি দলের একজন পরীক্ষিত নেতা। উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড যেখানেই তিনি যান সেখানেই সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে মিশে যান। তিনি তাদেরই প্রতিনিধি হিসাবে শোনেন সুখ-দুঃখ ও বঞ্চনার কথা। রাব্বানির মতে তৃণমুল নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ। তারা সুবিধা পেতে দৌড়ে যান না বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভরসাও তারাই। অওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কর্মী-জনবান্ধব, তরুণ , মেধাবী আদর্শিক ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ রাজনৈতিক নেতা গোলাম রাব্বানির কোনো বিকল্প নাই।