ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গমাতা হলের নাম ফলক ভাঙতে মই বেয়ে উঠতে গিয়ে পিছলে পড়ে এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থীর নাম শাহজালাল আহমেদ জনি। তিনি ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেখ হাসিনার ভাষণকে ঘিরে সারাদেশের মতো নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়েও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা মুজিব পরিবারের স্মৃতিধারক সব স্থাপনা ভেঙে দেয়ার ঘোষণা দেয়। পরে বিপ্লবী ছাত্র-জনতার ব্যানারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ‘মুজিব’ ম্যুরাল ভাঙার পর বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নামফলক ভাঙার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সারাদেশের মতো বঙ্গবন্ধু হলে থাকা শেখ মুজিবর রহমানের ম্যুরাল ভাঙার পর বঙ্গমাতা হলের শেখ ফজিলাতুন্নেছার ম্যুরাল ও নামফলক ভেঙে দেয়ার জন্য নারী শিক্ষার্থীদের হলটির সামনে গেলে ভেতর থেকে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নারী শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে মই ব্যবহার করে শুরু হয় নামফলক ভাঙার কাজ। এ সময় উভয়পক্ষের মাঝে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলে। এ সময় নামফলক ভাঙতে গিয়ে মই পিছলিয়ে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয় শাহজালাল আহমেদ জনি। গুরুতর আহত অবস্থায় সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাজু শেখ বলেন, আমরা জনিকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছি।
এদিকে শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে ম্যুরালটি ভাঙার প্রস্তাব করলেও নিরাপত্তা ও শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে রাতে এটি না ভেঙে প্রশাসনের উদ্যোগে ম্যুরাল ভাঙা ও নামফলক সরিয়ে নেয়ার আশ্বাস দেন। এই আশ্বাসে বিপ্লবী ছাত্ররা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মিজানুর বলেন, রাতে শিক্ষার্থীরা শেখ মুজিবের ম্যুরাল ও বঙ্গমাতা হলের শেখ ফজিলাতুন্নেছার ম্যুরাল ও নামফলক ভেঙে দিয়েছে।