বাগেরহাট প্রতিনিধি॥
বাগেরহাট সহকারী জেলা জজ আদালতের কুচুয়া স্বেরেস্তার অফিস সহকারী মোসা; দিলরুবা খানম কর্তৃক প্রতারনার অভিযোগ উঠেছে। সে মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার কল্যানপুর গ্রামের আব্দুল বাতেন এর পুত্র সিঙ্গাপুর প্রবাসী জানে আলমকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ও চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে সু-কৌশলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এনে প্রতারনা শিকার জানে আলম বাগেরহাট বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, প্রায় ৪/৫ বছর পূর্বে ঢাকায় যাবার পথে পরিবহনে দিলরুবার বাবাসহ তাদের পরিচয় ঘটে।
সেই থেকে ফোনালাপ একপর্যয়ে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে তাদের মধ্যে। এরপর প্রবাসী কর্মজীবি জানে আলম দিলরুবার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার অভিপ্রায়ে, মেয়ের অভিভাবক (পিতা) এর দৃষ্টি আকর্ষন করেন। জানে আলম সিঙ্গাপুরের ভিসা পাওয়ার কারনে তড়িঘড়ি করে চলে যায় এবং অধ্যাবধি সেখানেই কর্মরত আছে। উভয় পরিবারের অভিভাবকদের অনুমতির ভিত্তিতে তৎ পরবর্তী মেয়েটির সাথে তার নিত্য যোগাযোগ ও গভীর প্রণয় গড়ে ওঠে। আর এই প্রণয় ও পরিবারের অনুমতির সুবাদে দিলরূবার লেখা পড়া সহ যাবতীয় খরচাদি বহন করতে থাকে। এমনকি ঐ মেয়েরে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে স্বর্নালংকার সহ বিভিন্ন উপহার প্রদান করে আসছিল।
এমতবস্থায় জানে আলম ছুটি পেয়ে দেশে আসলে ছেলের অভিবাবক বিয়ের প্রস্তাব করলে মেয়ের বাবা বিবাহ দিতে গড়িমসি করে কালক্ষেপন করতে থাকে।জানে আলম ওতার পরিবারের এই বিষয় টি সন্দেহ মনে হওয়াতে গোপনে খোজ-খবর নিতে শুরু করে, একপর্যায়ে জানতে পারে দিলরূবা অন্য আর এক ছেলের সাথে সম্পর্ক গড়েছে।এবং দিলরূবার মূল বাড়ী দিনাজপুর সে বাগেরহাটের ফকির হাট উপজেলা বাসিন্দা এর কিছু কাগজ পত্র যোগড় করে সেই পরিচয়ে এখানে বসবাস করছে।
পরিতাপের বিষয় এই যে উক্ত দিলরুবা সরলতার সুযোগে ও মিথ্যা ভালবাসার দিয়ে বিভিন্ন সময়ে ও অজুহাতে ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়ন সহ কয়েকটি মানি ট্রান্সফর সার্ভিসের মাধ্যমে নগদ টাকা হাতিয়ে নেয়। এরমধ্যে মোসাঃ দিলরুবা আক্তার সরকারি চাকুরী প্রাপ্তির লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করেন। এক্ষেত্রে ছেলেটিকে দূর পরবাসে অধিক পরিশ্রম করা থেকেবিরত রাখতে তার চাকুরী পাওয়া জরুরী বলে জানে আলমকে জানায়। ৮লক্ষ টাকা হলে সরকারী চাকুরী হবে,আর চাকরী হলে দেশে ফিরিয়ে আনার কথা বলে ৮লক্ষ টাকা নেয় এবং অনান্য অজুহাতে বিভিন্ন সময়ে ২লক্ষ টাকা মোট ১০লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। দিলরুবা খানম বর্তমানে অফিস সহকারী হিসেবে কচুয়া স্বেরেস্তা, সহকারি জজ আদালত বাগেরহাটে কর্মরত রয়েছে।
জানে আলমের আনা অভিযোগে জানা গেছে, দিনাজপুর নিবাসী হওয়া সত্ত্বেও ফ্রড তথা অনৈতিক প্রপাগান্ডার মাধ্যমে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার অধিবাসী সেজে অত্র এলাকার নাগরিক সনদ যোগাড় পূর্বক ভূয়া কাগজপত্র দাখিল করে চাকুরী প্রাপ্ত হয়েছে। বিষয় টি জানার জন্য প্রবাসি জানে আলমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বর্তমানে উক্ত দিলরুবা খানম সর্বপ্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখেছে জানে আলমের সাথে। তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ না হওয়ার পাশাপাশি তার নিকট থেকে সুকৌশলে নেয়া টাকা ফেরৎ দিচ্ছেনা বলে জানান। মেয়ের বাবার কাছে টাকা ফেরৎ চাইলে সে সহকারী জজ আদালতে চাকুররীর সুবাদে আদালতের ভয় দেখাচ্ছে বলে তিনি জানান।জানেআলমের অভিযোগের সত্যতা যাচাইকরতে দিলরুবার সাথে ০১৭৮৯৯৬২৭৪১ নং মোবাইল ফোনে আলপকালে তিনি কিছুই বলতে রাজি হয়নি। এর প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী প্রবাসী জানে আলম, বাগেরহাট জেলা দায়রা জজ সহ জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে লিখিত আদেবন করেছে।