ইনজুরির কারণে দলে নেই তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। এরপরও জিম্বাবুয়েকে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। তাই টেস্টেও ভালো কিছু করার স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্ন শুরুতেই ফিকে হয়ে গেল। সিলেট স্টেডিয়ামের এটি ছিল অভিষেক টেস্ট। সেই যাত্রায়ই জিম্বাবুয়ের কাছে হার দিয়ে শুরু হলো বাংলাদেশের। তাও আবার যে কোনো টেস্টে এটি ছিল ২০১৩ সালের পর বাংলাদেশের প্রথম হার। সেই হিসেবে দলটির কাছে পাঁচ বছর পর কোনো টেস্ট হারল বাংলাদেশ। আর ঘরের মাটিতে হারল ১৭ বছর পর।
সবশেষ ২০১৩ সালে বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের কাছে টেস্ট হারে বাংলাদেশ। সেবার দুই ম্যাচ সিরিজে ১৩০ রানে প্রথম ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয়টিতে ৩৩৫ রানের জয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। তাই সেই সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র হয়। আর ঘরের মাটিতে জিম্বাবুয়ের কাছে সবশেষ টেস্ট হারের ঘটনা ঘটেছে ২০০১ সালে। দু’দলের মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্ট সিরিজে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ হারে ৮ উইকেটে। এরপর দলটির সঙ্গে ঘরের মাঠে আর কোনো টেস্ট হারের ঘটনা ঘটেনি। তবে নিজেদের মাটিতে জিম্বাবুয়ে ২০০৪, ২০১১ ও ২০১৩ সালে বাংলাদেশকে টেস্টে হারায়।
ওয়ানডেতে এবারের হোম সিরিজসহ জিম্বাবুয়েকে টানা ১৩ ম্যাচে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সবশেষ ২০১৩ সালের ৮ মে বুলাওয়েতে দলটির কাছে বাংলাদেশ হেরেছে ৭ উইকেটে। এরপর আর হোম বা অ্যাওয়ে সিরিজ কোথাও জিম্বাবুয়ের কাছে ওয়ানডেতে হারেনি বাংলাদেশ। অবশ্য ঘরের মাটিতে ২০১০ সালের ১ ডিসেম্বর টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সবশেষ ৯ রানে হারে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে এসে সেবার চার ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-২ ব্যবধানে ড্র করে জিম্বাবুয়ে।