• শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন

শোক দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অবমাননা করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৩
শোক দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন

বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেত্রী নাহিদ সুলতানা তৃপ্তির বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। জাতীয় শোক দিবসে পরিষদ চত্বরে তিনি একই স্ট্যান্ড ও রশিতে জাতীয় এবং কালো পতাকা উত্তোলন করেছেন। শুধু তাই নয়; জাতীয় পতাকার নিচে ও কালো পতাকা ওপরে ছিল।

এ ছাড়া সন্ধ্যার পরও পতাকা নামানো হয়নি। বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার (১৬ আগস্ট) আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) টুকটুক তালুকদার ওই চেয়ারম্যানকে শোকজ করেছেন। সাত কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া পতাকা অবমাননার কথা প্রশাসনকে জানিয়েছেন পৌর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন। এ কথা জানানোয় চেয়ারম্যান তৃপ্তির মোবাইল ফোন নম্বর থেকে তাকে হুমকি দেওয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

এ প্রসঙ্গে সান্তাহার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নাহিদ সুলতানা তৃপ্তি জানান, তিনি না জেনে ভুল করেছেন। ঘটনার সময় পরিষদের কেউ তাকে সতর্ক করেননি। চৌকিদারের অবহেলায় সঠিক সময়ে পতাকা নামানো হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দুঃখপ্রকাশও করেছেন।

তিনি দাবি করেন, নির্বাচনে দলীয় কেউ তাকে সহযোগিতা করেনি; দলমত নির্বিশেষে জনগণের ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান হয়েছি। কৃষক লীগ নেতা শামীমকে হুমকি দেইনি। শুধু তাকে ইউএনওকে চাপ দিয়ে শোকজ করানোর বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে।

অভিযোগে জানা গেছে, গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকীতে সান্তাহার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তার পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। শুরুতে একই স্ট্যান্ড ও রশিতে বাঁধা জাতীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। কালো পতাকা ওপরে এবং জাতীয় পতাকা নিচে অর্ধনমিত ছিল। পরিষদের অনেক সদস্য পতাকা সঠিক নিয়মে উত্তোলন হচ্ছে না বললেও চেয়ারম্যান পাত্তা দেননি।

এলাকাবাসী জানান, সন্ধ্যার পরও পতাকা নামানো হয়নি। জাতীয় পতাকা অবমাননার বিষয়টি জানাজানি হলে শুধু সাধারণ জনগণ নয়; আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়।

সান্তাহার পৌর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন দাবি করে, জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনা তিনি প্রশাসনকে জানাননি। এরপরও চেয়ারম্যান তাকে দায়ী করে মোবাইল ফোন নম্বর থেকে হুমকি দিয়েছেন। নিরাপত্তাহীনতার কারণে তিনি আদমদীঘি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

সান্তাহার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশরাফুল ইসলাম মন্টু জানান, একই স্ট্যান্ড ও রশিতে জাতীয় এবং কালো পতাকা উত্তোলন দৃষ্টিকটু ও অবমাননাকর। আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু রেজা খান বলেন, একই স্ট্যান্ড ও রশিতে জাতীয় এবং কালো পতাকা উত্তোলন ভুল ও আইনগত অপরাধ। এ বিষয়ে দলীয়ভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি।

আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টুকটুক তালুকদার জানান, সান্তাহার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাহিদ সুলতানা তৃপ্তি একই স্ট্যান্ড ও রশিতে জাতীয় এবং কালো পতাকা উত্তোলন করেছেন। জাতীয় পতাকা অবমাননার বিষয়ে জানতে পেরে বুধবার তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়। সন্তোষজনক জবাব না দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ