• বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:০৭ অপরাহ্ন

৫ মার্কিন নাগরিক মুক্ত, ইরান পেল ৬০০ কোটি ডলার

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
কাতারের দোহায় বিমান থেকে নামছেন মুক্তি পাওয়া মার্কিন নাগরিকরা। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় দক্ষিণ কোরিয়ায় জব্দ হওয়া ৬০০ কোটি ডলার ফেরত পেয়েছে ইরান। এরপরই পাঁচ মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রও পাঁচ ইরানিকে মুক্তি দিয়েছে।

রয়টার্সের ও এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার মুক্তি পাওয়ার পর মার্কিন নাগরিকরা কাতারের দোহা বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন। তাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর মোহাম্মাদ রেজা ফারজিন বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় আটকে থাকা ৬০০ কোটি ডলার আল আহলি ও দুখান ব্যাংকের ইরানি অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। কাতারের ওই দুই ব্যাংকে ইরানের ছয়টি অ্যাকাউন্টে এসব অর্থ জমা হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ায় আটকে থাকা ইরানি অর্থ ছাড় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় উরি ও আইবিকে ব্যাংকের পাশাপাশি মেল্লাত ব্যাংকের সিউল শাখায় আটকে থাকা সব ইরানি অর্থ গত ১০ আগস্ট সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানো হয়। ওই অর্থকে ইউরোতে রূপান্তরিত করতে সেখানে পাঠানো হয়েছিল।

ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, রোববার কাতারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে জানানো হয় সে দেশে ইরানি ব্যাংকগুলোর অ্যাকাউন্ট সক্রিয় হয়েছে। এরপর ইরানের অ্যাকাউন্টে ইউরো জমা হয়। দক্ষিণ কোরিয়া ইরানের অর্থ আটকে রাখায় যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা আদায়ের লক্ষ্যে কাজ চলছে বলেও তিনি জানান।

মোহাম্মাদ রেজা ফারজিন বলেন, আরও কয়েকটি দেশে আটকে থাকা ইরানি অর্থ ছাড়ের বিষয়ে কাজ চলছে। বিষয়টি চূড়ান্ত হলে তা ঘোষণা করা হবে।

মুক্তি পাওয়াদের মধ্যে একজনের নাম সিয়ামাক নামাজি। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, আমি আজ মুক্ত হতাম না, যদি আপনারা আমার হয়ে কথা না বলতেন। এর জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।

তেহরান থেকে ওই পাঁচজনকে বহনকারী বিমানটি কাতারের দোহায় অবতরণ করার সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইরানে বন্দী পাঁচজন নিরপরাধ আমেরিকান অবশেষে দেশে ফিরে আসছেন।

বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কাতারের অ্যাকাউন্টে ওই তহবিল স্থানান্তর করা হলেও তা শুধু জনগণের ‍নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ে ব্যবহার করতে পারবে ইরান। এ জন্য প্রতিটি লেনদেন মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ পর্যবেক্ষণ করবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, চুক্তিটি সফলভাবে সম্পন্ন হলে, তা ওয়াশিংটন এবং তেহরানের মধ্যকার কয়েক বছর ধরে চলে আসা পরোক্ষ আলোচনার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক অগ্রগতি বয়ে আনবে


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ