পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসম্যান জো উইলসন। তিনি বলেছেন, ইমরান খানের মুক্তি যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।
উইলসন রোববার পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এবং সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে উদ্দেশ্য করে লেখা পৃথক চিঠিতে এ আহ্বান জানান।
এদিন পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন কংগ্রেসম্যান তার চিঠিতে ইমরান খানের কারাবাসকে ‘অন্যায়ভাবে আটক’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্র তখনই কার্যকর হয় যখন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করা হয়, কারাগারে ঢুকিয়ে নয়।
তার মতে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং এভাবে একটি রাষ্ট্রকে মূলত দুর্বল করা হয়।
উইলসন আরও বলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা করবেন।
উইলসন এর আগে মার্কিন কংগ্রেসের সভায় বলেন, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী গণতন্ত্রকে দুর্বল করছে। আর ইমরান খানকে কারাগারে আটকে রাখা এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ।
তার মতে, পাকিস্তানের উচিত ইমরান খানকে মুক্তি দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা।
এই বক্তব্যের সময় তিনি উত্তর কোরিয়া, ইরান, রাশিয়া ও চীনের নেতাদের ছবি দেখিয়ে পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করেন।
এদিকে উইলসনের এই বক্তব্য পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে, যারা ইমরান খানের মুক্তির পক্ষে সোচ্চার রয়েছেন।
তবে সমালোচকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ক বরং সামরিক শাসনামলেই বেশি ঘনিষ্ঠ হয়েছে এবং গণতান্ত্রিক শাসনামলে কিছু ক্ষেত্রে সম্পর্ক শীতল ছিল।
এখন দেখার বিষয়, মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া এই চিঠি ও বক্তব্যের কী প্রতিক্রিয়া আসে এবং পাকিস্তান সরকার কী প্রতিক্রিয়া দেখায়।