জাতিসংঘে নিযুক্ত আরব দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা ফিলিস্তিন বিষয়ক জাতিসংঘের দূত রিয়াদ মানসুরের সঙ্গে শুক্রবার যৌথ বিবৃতিতে ফিলিস্তিনে জাতি নিধনের বিষয়ে সতর্ক করেছেন। একইসঙ্গে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন তারা। বলেছেন, যুদ্ধবিরতি দেয়া হলে গাজায় অবরুদ্ধ মানুষগুলোর কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো যাবে। রাষ্ট্রদূতরা জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠায় তার নৈতিক কর্তৃত্ব ব্যবহারে এবং যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের জন্য। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আরব নিউজ।
রিয়াদ মানসুর বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে এই গণহত্যা বন্ধে সব আরব নেতা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রয়োজন মানুষের জীবন রক্ষা। তাদেরকে অবিলম্বে রক্ষা করতে হবে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত সব আরব দেশের রাষ্ট্রদূতরা তার সঙ্গে আছেন এটাকে ইঙ্গিত করে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে তিনি বলেন, আমরা আরব গ্রুপ হিসেবে ঐক্যবদ্ধ। যারা মনে করেন এই মুহূর্তে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে কোনো আরব কূটনীতিক নেই, তারা আমাদের এই ঐক্যের দিকে তাকান।
যখন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভিতরে গাজায় মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক চলছিল, তখন এর বাইরে বক্তব্য রাখছিলেন রিয়াদ মানসুর। তিনি আরও বলেন, প্রথম নাকবার ৭৫ বছর পরে আমরা আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের পক্ষ হয়ে, নিরাপত্তা পরিষদ আরেকটা নাকবা অনুমোদন দিতে পারি না। গাজা উপত্যকার ২৩ লাখ মানুষকে সেখান থেকে সরিয়ে দিতে পারি না।
তাদেরকে মিশরের দিকে ঠেলে দিতে পারি না। এটাকে একটা মিশরীয় সমস্যা বলে চালিয়ে দিতে পারি না।
এর আগে গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে প্রায় ১২ লাখ মানুষকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ইসরাইল। এসব মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ক্লিনিকে। এরপর রিয়াদ মানসুর জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে আহ্বান জানান তিন দফা বাস্তবায়নে মহাসচিবের নৈতিক শক্তি ব্যবহারের। তা হলো- যুদ্ধবিরতি, মানবিক সহায়তা এবং জাতি নিধন বন্ধ করা।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, এমন উচ্ছেদ অভিযান অসম্ভব। তিনি এমন নির্দেশ বাতিল করার অনুরোধ করেন। বলেন, এ নির্দেশ বহাল থাকলে তাতে এরই মধ্যে সৃষ্ট মানিবক সঙ্কটের আরও ভয়াবহ অবনতি ঘটবে।