ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের ঘাঁটি বলে পরিচিত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে ৪ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্ত ১৫ শ মানুষ। ৭ দিনের বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত ও ৮ হাজারের ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ৭ অক্টোবর সকালে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলের দিকে ৫ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। একই সঙ্গে স্থলপথ, জলপথ ও আকাশপথে দেশটিতে ঢুকে পড়েন হামাস যোদ্ধারা। ইসরায়েলও এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ ঘোষণা করে হামাসের বিরুদ্ধে। এর পর থেকেই দফায় দফায় গাজায় বিমান, স্থল এমনকি নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজায় এক দিনে ৪ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং এই হামলায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ১৫ শ ফিলিস্তিনি।
ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ২৬০ জন গাজা শহরে, গাজার কেন্দ্রীয় অঞ্চলে দিয়ের এল-বালাহে নিহত হয়েছে আরও ৮০ জন এবং জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে নিহত হয়েছে আরও ৪০ জন। এর বাইরে বাইত এল-লাহানিয়ায় ১০ জন এবং খান ইউনিসে নিহত হয়েছে আরও অন্তত ২০ জন ফিলিস্তিনি।
এদিকে, ইসরায়েলি হামলায় বিগত কয়েক দিনে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২১৫ জনে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ৮ হাজার ৭১৪ জন। নিহতদের মধ্যে অন্তত ৭০০ জনই শিশু। এর বাইরে, গত সপ্তাহে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫০।
অপরদিকে, ইসরায়েলি হামলায় গাজার অধিকাংশ স্কুল ও বেশ কয়েকটি হাসপাতাল বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এ অবস্থায় হাসপাতালগুলোর রোগীর সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে মারাত্মকভাবে। এমনকি নিহতের সংখ্যা এত বেশি যে হাসপাতালগুলোর মর্গেও জায়গা খালি নেই।