ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা এবার পানির নিচে ড্রোন মোতায়েন করেছে। এই প্রথম তারা এ ধরনের ড্রোন ব্যবহার করছে বলে দাবি পেন্টাগনের।
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড দাবি করেছে, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা প্রথমবারের মতো একটি সাবমার্সিবল ড্রোন ব্যবহারের চেষ্টা করছিল, কিন্তু মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের হামলায় এটি ধ্বংস হয়ে গেছে।
মার্কিন নৌবাহিনী শনিবার হুতিদের তিনটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, একটি মনুষ্যবিহীন সারফেস ভেসেল (ইউএসভি) এবং একটি মনুষ্যবিহীন আন্ডারওয়াটার ভেসেলে (ইউইউভি) পাঁচটি হামলা চালিয়েছে।
ওই এলাকায় মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ ও বাণিজ্যিক জাহাজের জন্য ‘আসন্ন হুমকি’ দাবি করে মার্কিন সামরিক বাহিনী লিখেছে, ২৩ অক্টোবর হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রথম হুতিদের কোনো ইউইউভি মোতায়েন পর্যবেক্ষণ করা হলো।
গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে ইয়েমেনের একটি বড় অংশের নিয়ন্ত্রণে থাকা হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে চলাচলকারী একাধিক জাহাজকে হয়রানি করেছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। গাজায় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে হুতিরা গাজার অবরোধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যেকোনো জাহাজে হামলা চালানোর অঙ্গীকার করেছে।
প্রতিক্রিয়া হিসাবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লোহিত সাগরে টহল দেওয়ার জন্য একটি আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক জোট চালু করে, যার লক্ষ্য শিপিং লাইন রক্ষা করা। জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইয়েমেনের একাধিক ভূগর্ভস্থ স্টোরেজ সুবিধা, কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, ইউএভি স্টোরেজ এবং অপারেশন সাইট, রাডার, হেলিকপ্টারের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছে।
অন্যদিকে হুতিরা উত্তেজনা বৃদ্ধির সঙ্গে মার্কিন ও যুক্তরাজ্যের মালিকানাধীন বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু বানানোর ঘোষণা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত হুতিদের কোনো ক্ষেপণাস্ত্র মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজে আঘাত না করলেও গোষ্ঠীটি লোহিত সাগরে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের জাহাজ লক্ষ্য করে অসংখ্য ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছে।