চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে উত্তম কৃষি চর্চা অনুসরণ করে নিরাপদ আম উৎপাদন পরিদর্শন করেন কৃষিমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রদূতরা। ছবি : এনটিভি
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, বিদেশে আম রাপ্তানি প্রসারিত করতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিদেশে আমের বাজার সৃষ্টি ও আম আমদানিতে বিদেশিদের উৎসাহিত করতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এর ফলে আমের বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে এবং বৈদেশিক মূদ্রাও অর্জন হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার কান্দোবনা গ্রামের উত্তম কৃষি চর্চা অনুসরণ করে নিরাপদ আমের উৎপাদন পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সুস্বাদু ও সম্ভাবনাময় আমের রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি, বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একযোগে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীও সজাগ রয়েছেন। বিদেশে বাংলাদেশের আমের বাজার আরও প্রসারিত করার লক্ষ্যে আমাদের এই উদ্যোগ।
আম বাগানে কৃষিমন্ত্রীর নেতৃত্বে পরিদর্শন দল এসে পৌঁছালে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাঁদের স্বাগত জানান। কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে পরিদর্শন টিমে ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ওদুদ, সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমান, কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ ব্রুনাই, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভুটান, ভিয়েতনাম, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার ও লিবিয়ার রাষ্ট্রদূতগণসহ বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর, আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল, জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর।
এরপর রাষ্ট্রদূতরা আম বাগানের বিভিন্ন এলাকাঘুরে দেখেন এবং নিরাপদ আম উৎপাদনের খোঁজ খবর নেন। বাগানের গাছে থোকায় থোকায় ঝুলে থাকা আম দেখে তাঁরা মুগ্ধ হন এবং ইতিবাচক অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
আম বাগান পরিদর্শন শেষে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বেলেন, ‘আমরা এখানে হাজির হয়েছি চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমকে দেশে এবং বিদেশে ব্র্যান্ডিং করার জন্য। একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে বিশ্বের এতগুলো দেশের রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে আসা খুব সহজ কাজ নয়। আজকে সে কাজটি হয়েছে। রাষ্ট্রদূতরা এখানে এসেছেন। তাঁরা আম বাগান ঘুরে তাদের যে অভিজ্ঞতা তা ডিপ্লোমেটিক কোরে শেয়ার করবেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আম রপ্তানির ক্ষেত্রে বাধাগুলো দূর করতে গুড অ্যাগ্রিকালচার প্র্যাকটিস শুরু হয়েছে। সার্টিফিকেশন অর্জন হলেই আম রপ্তানির দ্বার আরও খুলে যাবে। কোনো বাধাই থাকবে না।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের যেখানে যেখানে ট্রেনের লাইন আছে সেখান থেকে কৃষি উৎপাদিত পণ্য ঢাকায় যাবে। এটি হবে কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যুগান্তকারী প্রদক্ষেপ।
অনুষ্ঠানে বিদেশি রাষ্ট্রদূতসহ অতিথিদের গাছ থেকে পাড়া পাকা আম খাওয়ানো হয়।