অমর গুপ্ত, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:- দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১২ টায় পর্যন্ত দিনাজপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস থেকে তাপমাত্রার বার্তা না জানালেও গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু এবং ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসাবে গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) থেকে আজ পর্যন্ত মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
তাপপ্রবাহের কারণে মানুষের বাইরে চলাচল কমেছে। শহরে মানুষের আনাগোনা কমে গেছে, যার প্রভাব পড়েছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। কাপড় বিক্রেতা খন্দকার মামুন বলেন, ‘দিনের বেলা গ্রামের করিদ্দার বেশি আসে। কিন্তু তাপপ্রবাহের জন্য এসব খরিদ্দারদের বাজারে আসা কমে গেছে। বেচাবিক্রি না থাকায় দোকানে শুয়েবসে দিন কাটছে।
এদিকে তাপপ্রবাহের মধ্যেই মেঘলা আকাশ কৃষকদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কায় ভুট্টা ও বোরো ধান ঘরে তোলার মৌসুমে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। শ্রমিকেরা অন্যান্য সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ মজুরি দাবি করছেন।
ফুলবাড়ী উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের কচুক্ষেতে সেচ দিচ্ছিলেন কৃষক পরীক্ষিত চন্দ্র রায়। রোদ থেকে বাঁচতে শ্যালো মেশিনের পাশে মোটা চটের ছাউনি দিয়েছেন। মাঝে মাঝে ছাউনির নিচে বসে শ্যালো মেশিনের পানি চোখেমুখে ছিটাচ্ছিলেন।
কৃষক পরীক্ষিত চন্দ্র রায় বলেন, ‘রোদ আর গরমে টিকা যাচ্ছে না।
মন বলছে না মাঠে আসি। কিন্তু বাড়ীতে বসে থাকারও উপায় নেই। একজন মজুরের মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। আগে যোখানে ছিল ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। এ সময় ধান কাটা, ভুট্টা তোলা, পাট নিড়ানি, কচু নিড়ানিসহ গ্রীষ্মকালীন শাক-সবজি চাষাবাদ শুরু হওয়ায় বেশি টাকা দিয়েও মজুর পাওয়া যাচ্ছে না। এজন্য নিজেই জমিতে কাজ করতে হচ্ছে। #