ইসলামে ইমানের পর নামাজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ৮২ বার সরাসরি নামাজের কথা বলেছেন। নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে বহু হাদিস বর্ণিত রয়েছে।
ইসলাম নিজে আমল করার পাশাপাশি অন্যদের আমল করতে উৎসাহ দেওয়া বা দাওয়াত দেওয়ারও নির্দেশ দেয়। এ দাওয়াত শুরু করতে হয় নিজের ঘর থেকে, নিজের পরিবার থেকে। কোরআনে আল্লাহ প্রত্যেককে নামাজ আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন, একইসাথে পরিবারকে নামাজ পড়তে অভ্যস্ত করা, তাদেরকে নামাজের নির্দেশ দেওয়াারও নির্দেশনা দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন,
وَاْمُرْ اَهْلَكَ بِالصَّلٰوةِ وَاصْطَبِرْ عَلَیْهَا لَا نَسْـَٔلُكَ رِزْقًا نَحْنُ نَرْزُقُكَ وَالْعَاقِبَةُ لِلتَّقْوٰی.
আর তোমার পরিবার-পরিজনকে নামাজ আদায়ের নির্দেশ দাও এবং নিজেও তার উপর অবিচল থাকো। আমি তোমার কাছে রিজিক চাই না, আমিই তোমাকে রিজিক দেই আর শুভ পরিণাম তো মুত্তাকিদের জন্য। (সুরা ত্বহা: ১৩২)
নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সাত বছর বয়সে সন্তানকে নামাজ আদায়ের নির্দেশ দিতে বলেছেন, দশ বছর বয়স হয়ে যাওয়ার পরও নামাজ না পড়লে প্রয়োজনে শাসন করতে বলেছেন, একইসাথে দশ বছর বয়সে সন্তানের বিছানা পৃথক করে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন। আমর ইবনে শোয়াইব (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,
مُرُوا أَوْلاَدَكُمْ بِالصَّلاَةِ وَهُمْ أَبْنَاءُ سَبْعِ سِنِينَ وَاضْرِبُوهُمْ عَلَيْهَا وَهُمْ أَبْنَاءُ عَشْرِ سِنِينَ وَفَرِّقُوا بَيْنَهُمْ فِى الْمَضَاجِعِ
তোমাদের সন্তানদের বয়স সাত বছর হলে তাদেরকে নামাজ শিক্ষা দাও, দশ বছর বয়স হলে নামাজের জন্য তাদেরকে প্রহার কর আর তাদের পরস্পরের বিছানা আলাদা করে দাও। (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৫)
এ হাদিসে যেহেতু সাত বছর বয়স থেকে নামাজের নির্দেশ দিতে বলা হয়েছে, শিশুর ৬-৭ বছর বয়স হলে তাকে নামাজ পড়তে অভ্যস্ত করা উচিত এবং মাঝে মাঝে মসজিদে নিয়ে যাওয়া উচিত।
যে বয়সে শিশু নামাজের গুরুত্ব বোঝে না, নামাজ পড়তেও পারে না এবং তাদের উপস্থিতির কারণে নিজের ও অন্য মুসল্লিদের নামাজের মনোযোগ নষ্ট হওয়ার আশংকা থাকে, ওই বয়সে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া শিশুদের মসজিদে নিয়ে যাওয়া সমীচীন নয়।