কোমল পানীয় লিমকার একটি বিজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে ১৯৯১ সালে অভিনয় জগতে পা রাখেন শিল্পা শেঠি। এরপর ‘বাজিগার’ ছবিতে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করে ১৯৯৩ সালে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে অভিষেক হয় তার। ১৯৯৪ সালে ‘ম্যায় খিলাড়ি তু আনারি’তে প্রধান নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেন শিল্পা।
‘বাজিগর’ (১৯৯৩) পরিচালনা করেছিলেন আব্বাস-মাস্তান, যারা রোম্যান্টিক-অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার ছবির জন্য বিখ্যাত। সিনেমাটি ১৯৯৩ সালে মুক্তি পেয়ে সুপারহিট হয়ে যায় এবং বলিউডের অন্যতম স্মরণীয় ছবি হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
‘বাজিগরে’ শিল্পার দুর্দান্ত অভিনয় আজও দর্শকের মনে গেঁথে রয়েছে।
তার ক্যারিয়ারের সেরা ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম এটি। শাহরুখের সঙ্গে এই সিনেমা করতে গিয়ে ১৫ বার মৃত্যুর মুখোমুখি শিল্পা।
‘বাজিগর’-এর একটি দৃশ্যে শাহরুখকে দেখা গিয়েছিল শিল্পাকে একটি বাড়ির ওপর থেকে ছুড়ে ফেলে দিতে।
যে দৃশ্যটি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ আলোচিত। কারণ, একটি চলচ্চিত্র উৎসবে শিল্পা এই দৃশ্যের শুটিংয়ের কিছু মজার গল্প ভাগ করেছিলেন।
বলিউডে কেমন ছিল শিল্পার প্রথম দিনগুলো? অভিনেত্রী বলেন, ‘সেই সময় আমার চলচ্চিত্র সম্পর্কে কোনো জ্ঞান ছিল না। আমি জানতাম না কী ভাবে অভিনয় করতে হয়। সেটে আমি একেবারেই একজন ছাত্রের মতো ছিলাম। প্রথমদিকে, তো খুব নার্ভাস থাকতাম। যেহেতু আমি দক্ষিণ ভারতের, তাই সেটে কখনও হিন্দিতে কথা পর্যন্ত বলতে পারিনি।
‘বাজিগর’-এর ক্লাইম্যাক্স দৃশ্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে শিল্পা বলেন, ‘আব্বাস ভাই ছবির অ্যাকশন ডিরেক্টর ছিলেন। এবং আমরা সেই দৃশ্যটি প্রায় পাঁচবার শুট করেছি। আমার কোমরে প্রায় ৮-১০ বছর ধরে ওই দাগটা ছিল। কারণ, আমাকে এমন একটা বেল্ট পরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যার দাগ যায়নি শরীর থেকে।’
অভিনেত্রী বলেন, ‘সেই সময় ভিএফএক্স-এর তেমন অপশন ছিল না। তাই নিজেকেই সবকিছু করতে হয়েছিল। আমি পড়ে যাচ্ছি এবং বাড়িটি কাঁপছে এটা দেখানোর জন্য শুট করা হয় এমন দৃশ্যের। কিন্তু নির্মাতারা ভেবেছিলেন দৃশ্যটি আরও ভালো ভাবে শুট করা যেতে পারে। তাই দৃশ্যটির জন্য আমি প্রায় ১৫ বার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি।
অভিনেত্রী এ সিনেমায় শাহরুখ খানের অভিনয়ের প্রশংসা করে বলেন, ‘যখন আমরা শেষ শটটি দেখলাম, আমার মনে হয় এই শটটি বলিউড সিনেমার অন্যতম সেরা মুহূর্ত। শাহরুখ খানের ওই সিনেমায় অসাধারণ অভিনয়, আজও আমার চোখে সেরা বলা চলে।’ শুধু তাই নয়, অভিনেত্রীর মতে, নব্বই দশকে ছবিগুলো টাকা দিয়ে নয়। বরং, অনেকটা ভালোবাসা দিয়ে তৈরি হতো।