ঈদুল ফিতর নিয়ে প্রতিটি মানুষের মাঝে থাকে বিশেষ উচ্ছ্বাস, আর এই উৎসবের সাথে সঙ্গে থাকে বাড়ি ফেরার আনন্দ। ঈদ মানে পরিবার, একসাথে সময় কাটানো এবং ভালোবাসার সান্নিধ্য। ঈদুল ফিতরের আগেই বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য মানুষ যখন ট্রেনে যাত্রা শুরু করে, তখন তা হয়ে ওঠে এক আনন্দঘন মুহূর্ত। এবারও সেই ঐতিহ্য বজায় রেখেছে মানুষ, আর শুরু হয়েছে ট্রেনযাত্রা।
আজ (২৪ মার্চ) থেকে শুরু হয়েছে ঈদুল ফিতরের ট্রেনযাত্রা। সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকা থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ধূমকেতু এক্সপ্রেস ছেড়ে যায়। এই ট্রেনের যাত্রার মাধ্যমে ঈদুল ফিতরের জন্য বিশেষ ট্রেনের যাত্রা শুরু হলো। ট্রেনযাত্রা উপলক্ষে দেশজুড়ে বিভিন্ন ট্রেন চলাচল করবে বিশেষ ব্যবস্থা সহ।
বাংলাদেশ রেলওয়ে ১৪ মার্চ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছে, আর আজ থেকে প্রথম যাত্রীরা নিজেদের গন্তব্যের পথে রওনা হয়েছেন। স্টেশনে মানুষের ঢল দেখা গেছে, যাত্রীরা ভোরবেলা থেকেই স্টেশনে এসে হাজির হয়েছেন যাতে তারা ট্রেন মিস না করেন। ট্রেনযাত্রীরা আনন্দিত মুখে বাড়ির পথে রওনা হচ্ছেন, যেন ঈদ উপলক্ষে তাদের পরিবারের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারেন।
একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, বলেন, “ঈদে বাড়ি ফিরতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পরে যাত্রা করলে ভোগান্তি বাড়তে পারে, তাই আগেভাগে টিকিট কিনে রেখেছিলাম।” অন্যদিকে, একজন ব্যবসায়ী বলেন, “ঈদে বাড়ি ফেরার আকাঙ্ক্ষা সবারই থাকে। আমারও ছিল, তাই টিকিট সংগ্রহ করে রেখেছিলাম।” তারা আশা করেন, সবার যাত্রাই নিরাপদ ও সুখকর হবে।
বিনা টিকিটের যাত্রীদের প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কমলাপুর, বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্টেশনে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় সার্বক্ষণিক নজরদারি এবং র্যাব, বিজিবি, পুলিশ বাহিনী তাদের কার্যক্রম জোরদার করেছে। এছাড়াও নাশকতা প্রতিরোধে ট্রেন, স্টেশন ও রেললাইনে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সব মিলিয়ে, এবারের ঈদযাত্রা যেন সকলের জন্য সুখকর ও নিরাপদ হয়, সেই লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঈদের এই আনন্দপূর্ণ যাত্রা সবার জন্য শুভ এবং সফল হোক, এটাই সকলের কামনা।