সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে কখনো অনলাইনে আউটসোর্সিং কাজ শেখানো কিংবা কখনো সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সেজে অভিনব উপায়ে প্রতারণা করার অভিযোগে প্রতারক চক্রের ০২ সদস্যকে ঢাকা লালবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি)।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন (১) সুকান্ত বিশ্বাস (২৪), পিতা- সুশান্ত বিশ্বাস, মাতা- লক্ষী রাণী বিশ্বাস, স্থায়ী ঠিকানাঃ গ্রাম-চৌরাশি, পোস্ট-বাজিতপুর, খানা- রাজৈর, ফেলা- মাদারীপুর, (২) মানৰ বৈদ্য (২৩), পিতা- কৃষ্ণ বৈদ্য, মাতা-শ্রীমতি বৈদ্য, স্থায়ী ঠিকানাঃ গ্রাম- চৌরাশি, পোস্ট- বাজিতপুর, থানা- রাজৈর, জেলা- মাদারীপুর। এসময় তাদের কাছ থেকে অপরাধকার্যে ব্যবহৃত ০৬ টি মোবাইল ১৪ টি সিম জব্দ করা হয়।
প্রতারকচক্রটি দীর্ঘদিন সিমগুলো ব্যবহার করে প্রতারণা করতে থাকার এক পর্যায়ে সিম নম্বরগুলো বন্ধ করে সেগুলো থেকে ওটিপি গ্রহণ করে নতুন হোয়াটস অ্যাপ চালু করে ব্যবহার করে এবং সেসব একাউন্ট থেকে পুলিশসহ সরকারী বিভিন্ন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পরিচয়ে প্রতারণাসহ লোকজনকে বিভিন্ন অনলাইন আউট সোর্সিং কাজ দেওয়ার নামে কিংবা অন্য কোনো উপায়ে প্রলুব্ধ করে অর্থ গ্রহণ করতো। এ বিষয়ে পল্টন থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। পল্টন থানার মামলা নং- ০২ ধারা- সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ এর ২৩(২)/২৪(২)/৩০(২)/৩৫(২) তৎসহ পেনালকোড এর ৪০৬/৪২০ তাং- ০৪/০৪/২০২৫ খ্রি.।
বাদী মামলার এজাহারে জানান যে, তিনি মোবাইলে ইন্টারনেট, ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করার সময় মাঝে মাঝে আউটসোর্সিং কাজের জন্য বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখতেন। কাজের পাশাপাশি একটু বাড়তি আয় করার জন্য অনলাইন মাধ্যমগুলোতে খোঁজ করাকালে তার টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে পার্ট টাইম একটি কাজের জন্য একটি মেসেজ দেখতে পান।
বাদী তাদের সাথে যোগাযোগ করলে টেলিগ্রামের একটি গ্রুপে অ্যাড করে দিলে সেখানে আরও অনেক মেম্বার রয়েছে মর্মে দেখতে পান। টেলিগ্রাম গ্রুপে কাজ শেখার জন্য ১০,০০০/-(দশ হাজার) টাকা ফি দেওয়ার (ডিপোজিট) জন্য বলা হয়।
পরবর্তীতে তাদের সাথে যোগাযোগ করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠালে প্রতারক চক্রটি বাদীকে ডিপোজিট একাউন্ট খুলে দেয় এবং কাজের কিছু নির্দেশনা প্রদান করে। কাজ করার পর বাদী তাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করে আরো তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করলে তারা আর মেসেজ সিন করে না ও রিপ্লাইও দেয় না। পরে বাদী তার কিছু বন্ধু ও পরিচিতজনদের সাথে জানতে পারেন যে, এরকম টেলিগ্রাম, হোয়াটস অ্যাপ বা মেসেঞ্জারে গ্রুপের মাধ্যমে অনলাইনে আউট সোর্সিং কাজ করার জন্য অনেকে টাকা প্রদান করে প্রতারণার শিকার হয়েছে। মামলাটি সিআইডি কর্তৃক তদন্তাধীন আছে।