• মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ১২:৪০ পূর্বাহ্ন

শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যার ঘটনায় সেই ২ ছাত্রীকে বহিষ্কার

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫
ফাইল ছবি

রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যার ঘটনায় ২ নারী শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন মোবাশ্বের আলী খন্দকার এ তথ্য জানান। একইসঙ্গে পারভেজের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ফাতেমা তাহসিন ঐশী (আইডি নম্বর ২৪১০৫০০১৩) এবং ইংরেজি বিভাগের ফারিয়া হক টিনা (আইডি নম্বর ২৪১০৪০০৪৮)।

মোবাশ্বের আলী খন্দকার জানান, প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি চিঠির মাধ্যমে অভিযুক্ত ২ ছাত্রীর বিষয়ে জানতে চেয়েছিল। এরপর প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে আমরা তাদের সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পারভেজ হত্যায় গঠিত তদন্ত কমিটি প্রাথমিক পর্যায়ে ২ শিক্ষার্থীর সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত পেয়েছে। সেজন্য তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে পুলিশি প্রতিবেদন বা চূড়ান্ত তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত তাদের ছাত্রত্ব সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব স্থায়ীভাবে বাতিলসহ প্রয়োজনীয় কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

গত ১৯ এপ্রিল বিকেলে মিডটার্ম পরীক্ষা শেষে পারভেজ তার বন্ধুদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীতে একটি পুরি-শিঙাড়ার দোকানে দাঁড়িয়ে নিজের মধ্যে হাসি-ঠাট্টা করছিলেন। তাদের পেছনেই দাঁড়ানো ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব স্কলারসের দুই ছাত্রী ও তাদের বন্ধু প্রাইম এশিয়ার চার শিক্ষার্থী। তারা একপর্যায়ে পারভেজ ও তার বন্ধুর হাসাহাসি নিয়ে জানতে চান- কেন তাদের কটাক্ষ করে হাসাহাসি করা হচ্ছে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হলে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মীমাংসাস করে দেয়। তবে মীমাংসার পরেও বান্ধবীদের কাছে নিজেদের ক্ষমতা ও আধিপত্য দেখাতে তারা পারভেজকে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় জাহিদুলকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পারভেজের ভাই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ড পরিকল্পনা ও হামলায় অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন ছাত্রের সঙ্গে কয়েকজন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য ছিল। সব মিলিয়ে হামলাকারী ১৫-২০ জন ছিলেন। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১১ জনের নাম জানা গেছে। এরমধ্যে রাজধানীর ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকে সোমবার ভোরে তিনজনকে গ্রেপ্তার হয়েছে। বর্তমানে তারা ৭ দিনের রিমান্ডে রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ