• মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন

সিন্ধু নদীতে রক্ত বইবে, ভারতকে বিলওয়ালের হুঁশিয়ারি

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫
বিলওয়াল ভুট্টো

পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলওয়াল ভুট্টো-জারদারি শুক্রবার বলেছেন, পিপিপি যেমন ঐক্যমত্য ছাড়া বিতর্কিত খাল প্রকল্পের অনুমতি দেয়নি, তেমনি পাকিস্তানিরা ঐক্যবদ্ধ থাকবে এবং সিন্ধু নদীতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগ্রাসনের তীব্র জবাব দেবে। খবর জিও নিউজ।

সিন্ধু পানি চুক্তি (আইডব্লিউটি) স্থগিত করার বিষয়ে ভারতের একতরফা সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে তিনি নয়াদিল্লিকে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সিন্ধু আমাদের এবং আমাদেরই থাকবে। সিন্দুতে হয় আমাদের পানি প্রবাহিত হবে, নয়তো তাদের (ভারত) রক্ত।

সুক্করে এক সমাবেশে তিনি জনগণকে অভিনন্দন জানান এবং বলেন, তাদের শান্তিপূর্ণ সংগ্রামের সাফল্যের জন্যই ফেডারেল সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সাধারণ স্বার্থ পরিষদের (সিসিআই) ঐকমত্য ছাড়া সিন্ধু নদের ওপর কোনো খাল নির্মাণ করা হবে না।

তিনি আরও বলেন, পিপিপি এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এর মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে। এতে উভয় দলের নেতারা স্বাক্ষর করেছেন। এখন পাকিস্তান সরকারের আনুষ্ঠানিক নীতি হলো যে, সকল প্রদেশের পারস্পরিক সম্মতি ছাড়া কোনো নতুন খাল নির্মাণ করা হবে না।

বিতর্কিত প্রকল্পের বিরুদ্ধে পিপিপি কর্মীদের সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, তারা মাঠে না নামলে এটা সম্ভব হতো না।

তিনি আরও বলেন, আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে আমরা সিন্ধুকে রক্ষা করব এবং আজ, সিন্ধু এই হুমকি থেকে সুরক্ষিত হয়েছে। এটি তোমাদের বিজয়।

প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সঙ্গে সাম্প্রতিক বৈঠক এবং আলোচনার সময় সম্মত হওয়া বিষয়গুলোর ওপর আলোকপাত করে বিলওয়াল ভুট্টো উল্লেখ করেন, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে ফেডারেল সরকার প্রকল্পটি সিসিআই-এর সামনে উপস্থাপন করবে।

তিনি বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের প্রতি কৃতজ্ঞ, যিনি আপনাদের (জনগণের) উদ্বেগের কথা শুনেছেন এবং এখন কাউন্সিলের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলগুলো— পিএমএলএন এবং পিপিপি— একমত হয়েছে যে আপনার সম্মতি ছাড়া কোনো নতুন খাল নির্মাণ করা হবে না।

তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী এবং ফেডারেল সরকার কর্তৃক অনুমোদিত তার সঙ্গে করা চুক্তি আবারও স্পষ্টভাবে নিশ্চিত করেছে যে, সব প্রদেশের পানির ওপর ন্যায্য দাবি রয়েছে এবং ১৯৯১ সালের পানি চুক্তি এবং ২০১৮ সালের পানি নীতি উভয়ই পারস্পরিক ঐকমত্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি।

নিজের ব্যর্থতা লুকানোর জন্য মোদী সরকার উঠেপড়ে লেগেছে। এমনটা উল্লেখ করে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বিলওয়াল ভুট্টো বলেন, সিন্ধু আবারও আক্রমণের মুখে পড়েছে — এবার ভারতের আক্রমণের মুখে পড়েছে।

তিনি বলেন, ভারতের অবৈধভাবে অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে একটি সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে, যার জন্য নয়াদিল্লি পাকিস্তানের ওপর মিথ্যাভাবে দোষ চাপিয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের তীব্র নিন্দা করে, কারণ সন্ত্রাসবাদের কারণে তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পানি আটকানো যুদ্ধ ঘোষণার শামিল: ভারতকে কড়া হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের
পাকিস্তানের পদক্ষেপে বিপাকে ভারতের এয়ারলাইনসগুলো

ভারত নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে পাকিস্তানের ওপর দায় চাপাচ্ছে বলেও মন্তব্য করে পাকিস্তান পিপলস পার্টির এই চেয়ারম্যান বলেন, কোনো প্রমাণ ছাড়াই ভিত্তিহীন অভিযোগের ভিত্তিতে ভারত অবৈধভাবে সিন্ধু চুক্তি বাতিল করছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ