সিংড়া(নাটোর)প্রতিনিধি॥
এমপি,মন্ত্রীরা কিংবা রাজনৈতিক নেতারা হেলিকপ্টার করে বিভিন্ন এলাকায় গমন করেন। এখন নতুন সংযোজন মাহফিলে গমন করছেন পীর, বড় বড় মাওলানারা। গ্রামবাংলার মানুষের কাছে একেবারে নতুনত্ব। তাইতো হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছিল হুজুরকে এক নজর দেখার জন্য। নাটোরের সিংড়া উপজেলার ইটালী ইউনিয়নের শালমারা গ্রামে আগমন করেন পীরে কেবলা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী জৈনপুরী। তার সাথে সেনাবাহিনীর পরিচয়ে এক কমান্ডার ছিলেন সসস্ত্র অবস্থায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবরটি ভাইরাল হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে।
আঃ আওয়াল নামে একজন ফেসবুকে মন্তব্য করেন, মানুষের দানের টাকা দিয়ে এরকম ভাড়া করা হুজুর দিয়ে ইসলাম প্রচার হবে না। এই মার্কা হুজুররা ধর্ম ব্যবসায়ী। মুরাদ মন্তব্য করেন, সকল জালসাই অনর্থক। শুধুমাত্র একটা উৎসব ও ধুমধাম। কয়জন মানুষ জালসা শুনতে যায়, তারা যায় জালসা খেতে। মোস্তাফিজুর রহমান টুটুল লিখেছেন, যুগে যুগে আর কত দেখবো??? হুজুরদের এটা অবশ্যই অপচয় নয়!!!! সত্যিই জামানা পালটাইছে রে ভাই!!!! সুমন কুমার নিতাই লিখেছেন, উনি মওলানা না মন্ত্রী, সঙ্গে আবার ফোর্স,,,,
উৎপল মন্তব্য করেন, বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি কি বলবো বুঝতে পারছিনা, মতিয়ার মিলন মন্তব্য করেন, নবীজী কত কষ্ট করে ইসলাম প্রচার করেছেন,,,আর ১ লাখ ৮০ হাজার,,মাদ্রাসার দুটি পাকা রুম হতো। ২৫শে ফেব্রুয়ারী রবিবার বিকেল ৪.১০ মিনিট শালমারা গ্রামে হেলিকপ্টার মাথার উপর চক্কর দিতেই হাজারো মানুষ উৎফুল্ল হুজরুকে দেখার জন্য। হুজুর হেলিকপ্টার থেকে নেমে সবাইকে সালাম জানিয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। অভ্যর্থনা জানাতে ছুটে এলেন, শালমারা দাখিল মাদ্রাসার সুপার শহিদুল ইসরাম, সভাপতি মোসলেম আলী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মকলেস সহ জালসা কমিটির লোকজন। হুজুরকে নামিয়ে চলে গেলো হেলিকপ্টার।
জানা গেছে, প্রতি বছর শালমারা দাখিল মাদরাসার আয়োজনে ঐ গ্রামে জালসা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবার জালসার প্রধান মেহমান হিসেবে জৈনপুরী হুজুরকে আমন্ত্রন জানানো হয়। রাতে তিনি বক্তব্য দেন। সকাল ৮ টার দিকে পুনরায় হেলিকপ্টার করে চলে যান।
জালসা কমিটি জানিয়েছে, হুজুরকে হাদিয়া ও ভাড়া বাবদ সব মিলে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে।
এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী জৈনপুরী জানান, তিনি প্রায় ২০ টি দেশ সফর করেছেন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জালসায় হেলিকপ্টারে গমন করেন। এতে করে সময়ের অপচয় রোধ হয় । সিংড়া থানার ওসি (তদন্ত) নেয়ামুল আলম জানান, জালসা কমিটি নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ ফোর্স চেয়েছিলো। সেখানে জৈনপুরী পীরের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো।