বাগেরহাট প্রতিনিধি॥
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বাধাল ধেরুলিয়া সাইক্লোন শেল্টার কাম সরকারী প্রাইমারী স্কুলে’র প্রধান শিক্ষক নকীব কবির হোসেন অতিরিক্ত অর্থের মোহে পড়ে বালু উত্তোলনে সাব ঠিকাদারী নিয়েছেন। যা নিয়ে এলাকায় নানা সমালোচনা শুরু হয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, কচুয়া বাধাল ইউনিয়নের ধেরুলিয়া সাইক্লোন শেল্টার কাম প্রাইমারী স্কুলের নির্মান কাজ শুরু হয়েছে। নির্মান কাজে সাইক্লোন শেল্টারের প্রয়োজনীয় বালু উত্তোলনে প্রকৃত ঠিকাদারের কাছ থেকে ওই শিক্ষক প্রতি ফুট বালু ৫ টাকা পঞ্চাশ পয়সা দরে সাব ঠিকাদারী নেন। সে অনুযায়ী এলাকায় প্রভাবশালী ওই প্রধান শিক্ষক স্কুলের পাশ থেকেই মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করেন। এতে করে স্কুলের প্রবেশ দ্বার ও নির্মানাধীন সাইক্লোন শেল্টার ফাটলসহ ঝুকিঁ’র মধ্যে পড়েছে। যা নিয়ে এলাকাবাসী’র পক্ষে স্থানীয় মোঃ জিয়াউল শেখ গত ২০ ফেব্রুয়ারী কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে আবেদন করেছেন। অথচ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেন নি বলে জানা গেছে। বাধাল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা অব্দুল কাদের খান বলেন, প্রধান শিক্ষক নকীব কবির হোসেন ও তার স্ত্রী ওই স্কুলে’র সহকারী শিক্ষক মমতাজ বেগম নিয়মিত ক্লাশ করেন না। সরকারীভাবে বরাদ্দ পাওয়া স্কুলে স্লীপের টাকা ইচ্ছা খুশিমত ব্যবহার এবং আত্মসাৎ করেন। ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের সাথে অসৌজন্য মুলক আচারন করেন। যা একাধিকবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে এবং সে বিষয়ে কয়েক দফায় তদন্ত ও হয়েছে।।