• সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন

কারমাইকেল কলেজের আবাসনের তীব্র সঙ্কট

আপডেটঃ : শনিবার, ১০ মার্চ, ২০১৮

রংপুর প্রতিনিধি॥
উপমহাদেশের প্রাচীন বিদ্যাপীঠ রংপুর কারমাইকেল কলেজ ।  আবাসন সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করেছে । শতবর্ষের প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ২৮ হাজার শিক্ষার্থীর আবাসিক সুবিধায় রয়েছে মাত্র সাতটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য মতে, কারমাইকেল কলেজ ১৯১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় । ২০১৬ সালে ১শ বছর পূর্তী পালিত হয়েছে। কিন্তু আবাসিক সমস্যা দেগেই আছে ।২০১১ সালে ১৫ মার্চ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানানোকে কেন্দ্র করে ছাত্রশিবিরের সঙ্গে ছাত্রলীগের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা পর কলেজ ক্যা¤পাসের পরিবেশ স্থিতিশীল রাখতে কলেজটির চারটি আবাসিক হল এক মাসের জন্য বন্ধ করে দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেই থেকে ছাত্র হল চালু না থাকায় একদিকে যেমন চরম আবাসন সঙ্কটে পড়েছে কলেজটির হাজারো শিক্ষার্থী। অপরদিকে ব্যাহত হচ্ছে কলেজটির মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ। কলেজ প্রশাসন সূত্র জানায়, কলেজটির উচ্চ মাধ্যমিক ডিগ্রিসহ ১৮টি বিষয়ে সম্মান ও ¯œাতকোত্তর পর্যায়ের প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে ।  আবাসিক সুবিধায় ছাত্রবাস  রয়েছে মাত্র সাতটি। এর মধ্যে ছাত্রীদের আবাসিকতার জন্য তিনটি হল চালু রয়েছে। যার আসন সংখ্যা মাত্র ৭৫০টি।রাজা গোপাল লাল রায় (জিএল) ও কাশিম বাজার (কেবি ) নামের দুই ছাত্র হল চালুর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জিএল হোষ্টেল টি বর্তমানে শিক্ষার্থীদের আবাসিকতার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
অপরদিকে, রাজনৈতিক সংঘাতের আশঙ্কায় দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছাত্রদের বাকি চারটি আবাসিক ছাত্রাবাস। ফলে শতবর্ষে পদার্পণ করেও এখনো কাটেনি কলেজটির আবাসিক সঙ্কট। উল্টো দিন দিন এ আবাসিক সঙ্কট বেড়েই চলেছে। আর এ সুযোগে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠেছে ব্যক্তি মালিকানায় ছাত্রাবাস। শুধু পড়াশোনার পরিবেশ নয়, শিক্ষার্থীরা মোটা অংকের টাকা গুণেও পাচ্ছে না কাক্সিক্ষত সুযোগ-সুবিধা।তবে সম্প্রতি কলেজ প্রশাসন জিএল এবং কেবি নামের দুইটি হোষ্টেল  চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। হোষ্টেল  দুইটি চালুর মাধ্যমে ১৯৬টি আসনে ছাত্ররা আবাসিক সুবিধা পাবেন। এছাড়া কাজ চলছে ১০০ আসন বিশিষ্ট নতুন একটি ছাত্র হোষ্টেল  ও। প্রয়োজনের তুলনায় এ সংখ্যা অনেক কম হলেও আর্থিকভাবে অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীরা কম খরচে এসব হোষ্টেল  অবস্থানের সুযোগ পাবে। একই সঙ্গে দীর্ঘ সময় পর ছাত্র  চালুর হোষ্টেল  মাধ্যমে ক্যা¤পাস প্রাণ ফিরে পাবে বলে আশা করছে কলেজ সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর  ড. মো. আব্দুল লতিফ মিয়া বলেন, আমি যোগদানের পর থেকেই ছাত্রাবাস চালুর বিষয়টি তদারকি করছি। আশা করি এই দুইটি ছাত্রাবাস চালুর মাধ্যমে আবাসন সঙ্কট কিছুটা হলেও নিরসন হবে। তিনি আরও জানান, হলের আসন বরাদ্দের ব্যাপারে দলীয় বিবেচনা নয় বরং মেধাকেই প্রাধান্য দেয়া হবে। কলেজটির আবাসন সঙ্কট নিরসন পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ ফেরাতে দ্রুতই চালুর করার দাবী ছাত্র ছাত্রীদের ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ