• সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:১৩ অপরাহ্ন

আশুলিয়ার খেজুর টেক এলাকায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরউল্লাহর বিরুদ্ধে সরকারি জমি ও রাস্তা দখলের অভিযোগে এলাকাবাসীর মানববন্দন

আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১৩ মার্চ, ২০১৮

ধামরাই(ঢাকা) প্রতিনিধি॥
ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন এলাকায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রর প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফর উল্লাহর বিরুদ্ধে সরকারি রেকডীয় জমিতে ঘরবাড়ী, গাছপালা, দোকানপাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মিল কারখানাসহ  রাস্তা দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে এলাকাবাসী ড. জাফর উল্লাহ অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। এর প্রতিবাদে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগি জনতা মঙ্গলবার সকালে স্বতম্ফুর্তভাবে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। বসতি স্থাপনসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, অবমুক্ত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করে।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে দখল করার চেষ্টার বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচী পালনকালে ভুক্তভোগি জনগোষ্ঠী ড. জাফর উল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন,ড. জাফর উল্লাহর একজন ভুমিখেকু। আমরা নিরিহ মানুষ। আমরা অতি কষ্টের টাকা দিয়ে জমি কিনেছি। এই দিয়ে কোন রকমে মাথা ঘোজার ঠাঁয় করেছি। সেই বসতবাড়ী টাও ড. জাফর উল্লাহর ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে উচ্ছেদের পায়তারা করছে।আশুলিয়ার পাথালিয়া মৌজার খেজুর টেক এলাকার আর এস খতিয়ান নং ২৪০ এবং আর এস দাগ নং ১০৪০,১০৫২,১০৫৬,১০৫৭,১০৫৮,১০৫৯,১০৬০,১০৬১,১১০৫,১১০৬, উল্লেখিত মোট জমির পরিমান ১৩.৩৩ একর জমিতে বসতবাড়ী,গাছপালা, দোকানপাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানাসহ বিভিন্ন স্থাপনা জোর পৃর্বক দখলের পায়তারা করে আসছে ড. জাফর উল্লাহ।  দীর্ঘ্যদিন ধরে এলাকাবাসী ব্যবহার করে আসলেও ড. জাফরউল্লাহ উক্ত বসতিবাড়ী ঘর গ্রাস চেষ্টা করে আসতেছে বলে জানান এলাকাবাসি।
এসময় বসবাসরত মোঃ রবিউল হোসেন (রবি) বলেন, ২০১১ সালে আমরা জানতে পারি যে ভুমি দুস্যর অন্যতম হুতা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রর নাম ব্যাবহার করে কুখ্যাত ভুমি দুস্য ড.জাফরউল্লাহ চৌধুরী স্থায়ী বাসিন্দাদের আবাসিক এলাকা অধিগ্রহনের একটি আবেদন করেছেন ভুমি মন্ত্রনালয়ের বরাবর। যাহা তৎকালিন মন্ত্রনালযের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাননীয় মন্ত্রীমহোদয় জনাব রেজাউল করিম (হিরা) এর সভাপতিত্বে ৮৮তম সভায় ০৪-০৪-১১ তারিখে ড. জাফরউল্লাহ  প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হয়। পরে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশে অধিগ্রহনের বিষয়টি স্বছতা নিশ্চিতের জন্য ভুমি মন্ত্রনালয়ের একটি সভার মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।পরবর্তিতে উক্ত তদন্ত কমিটি সরেজমিনে যাচাবাচাই পুর্বক একটি চুরান্ত প্রতিবেদন পেশ করেন। যা ভুমি মন্ত্রনালয়ের সম্পাদিত সভায় গৃহিত হয়ে চুরান্ত নির্দেশ প্রদান করেন। এবং সেখানে মাননীয় ভুমি মন্ত্রী মহোদয় তদন্ত কমিটির চুরান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ড. জাফর উল্লাহর অধিগ্রহনের  আবেদনটি সম্পুর্ণ ভাবে বাতিল ঘোসনা করা হয় বলে জানান।
এই সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ঐ এলাকার স্থায়ীবাসিন্দা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক ওয়ারেন্ট আফিসার মোঃ আমজাদ হোসেন. বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক ওয়ারেন্ট আফিসার  মোঃ মিজান, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ও সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মোঃ মাহাবুবুল হক,মোঃ ফজলুল কাদের লিটন, মোঃ রৌশন মাষ্টার, মোঃ সাফায়াত উল্লাহ, মোঃ আলমগীর হোসেন, মোঃ এবাদুল্লাহ,এ কে দ্বিন মোহাম্মদ, ইঞ্জিঃ মোঃ আব্দুল কাদের, মোঃ মনির হোসেন, ইঞ্জিঃ মুনসুর আলীসহ সকলেই মানব বন্ধনে আংশ গ্রহন করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ