রংপুর প্রতিনিধি॥
রংপুরে এক শত শয্যা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক শিশু হাসপাতাল নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। রংপুর সদর হাসপাতাল ক্যাম্পাসে দুই একর জমির উপর নির্মিত এই হাসপাতালের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩২ কোটি টাকা। এই শিশু হাসপাতালের নির্মাণ কাজ দুই বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
রংপুর স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, অত্যাধুনিক শিশু হাসপাতার নির্মাণে ঢাকা থেকে দরপত্র আহবান করা হয় গত বছরের অক্টোবর মাসে। কার্যাদেশ দেওয়া হয় গত বছর ২১ নভেম্বর। কার্যাদেশ পাওয়া ঢাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স অনিক ট্রেডার্স চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারী নির্মাণ কাজ শুরু করে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যেস্থানে হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে সেখানে রয়েছে ১২টি জরাজীর্ণ ভবন। তা নিলাম করা হয়েছে। নিলামের পর এসবের অধিকাংশ খালি হলেও দু’একটি এখনও বাদ রয়েছে। কাস্টিং পাইলিং করতে পিলার নির্মাণ কাজ চলছে পুরোদমে। ইতিমধ্যে দুই শতাধিক পিলার নির্মাণ হয়েছে বলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সূত্র জানায়।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী মোকদম আলী জানান, কাস্টিং পাইলের কাজ শুরু হয়েছে। তবে জরাজীর্ণ ভবনগুলো অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু করা যাচ্ছেনা। সিভিল সার্জেন ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম জানান, জরাজীর্ণ ভবনগুলো অপসারণের জন্য ভবনগুলো নিলাম করা হয়েছে। জাহাঙ্গীর নামে স্থানীয় এক ঠিকাদার নিলাম পেয়েছেন। সেখান থেকে হরিজনদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিতে সিটি করপোরেশনকে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে হরিজনদের শ্যামাসুন্দরী খালের ধারে থাকার জায়গা কওে দেওয়া হয়েছে।
রংপুর স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জানান, একশত শয্যা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক শিশু হাসপাতাল নির্মাণ কাজ ইতমধ্যে শুরু হয়েছে। হাসপাতালের ফাউন্ডেশন রয়েছে ৬ তলা। প্রথম পর্যায়ে নির্মাণ হবে তিন তলা। প্রতি তলা হবে ২৮ হাজার স্কোয়ার ফুট করে। এর সাথে থাকছে ৬ তলা বিশিষ্ট প্রতি তলা সাড়ে ১২’শ থেকে ১ হাজার স্কোয়ার ফুটের ডক্টরস কোয়াটার, ৬ তলা বিশিষ্ট ৮’শ থেকে ৬’শ স্কোয়ার ফুটের স্টাফ কোয়াটার, অ্যাম্বুলেন্স ও যানবাহন রাখার গ্যারেজ ও বিদ্যুৎ সাব স্টেশন। দুই বছরের মধ্যে এই কাজ শেষ করা হবে। এজন্য ব্যয় হবে ৩১ কোটি ৪৮ লাখ ৯২ হাজার ৮৯০ টাকা। তিনি বলেন, সময় মত শিশু হাসপাতালের কাজ শেষ হলে সাধারণ মানুষের নানা রোগে আক্রান্ত শিশু সন্তানেরা চিকিৎসা সেবা ভোগ করতে পারবে।