তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি॥
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) সংসদীয় আসনের নির্বাচনী এলাকার রাজনৈতিক অঙ্গনে এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী গোলাম রাব্বানী রীতিমতো মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে উঠেছে। এদিকে রাব্বানীকে প্রধান অতিথি করায় অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি মিলেনি ১৩ এপ্রিল শুক্রবার বাতাসপুর এলাকায় এই অনুষ্ঠান হবার কথা ছিল। রাজনীতির মাঠে রাব্বানী আতঙ্কে অনেকেই দিশেহারা চোখেমূখে ও চেহারায় ফুটে উঠেছে চরম হাতাশার ছাপ। আর হতাশায় হিতাহিত বা ভালমন্দ জ্ঞান হারিয়ে তারা এমন কান্ড করছে বলে তৃণমূলের অভিমত। তবে রাব্বানী আতঙ্ক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বা সাধারণ মানুষের মধ্যে নয় এই আতঙ্ক দেখা গেছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের একশ্রেণীর নেতাকর্মীর মধ্যে। আওয়ামী লীগে একচ্ছত্র আধিপত্য হারানোর শঙ্কায় একশ্রেণীর নেতার মধ্যে গোলাম রাব্বানি মূর্তিমান আতংক সৃষ্টি হয়েছে। আর রাব্বানি আতংক তৃণমূলের নেতাকর্মী বা সাধারণ মানুষের মধ্যে নয় এই আতংক দেখা গেছে একশ্রেণীর নেতার মধ্যে যারা আওয়ামী লীগে বশংবদ সৃষ্টি, স্বজনপ্রীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিএনপি-জামায়াতপ্রীতি, নিয়োগ বাণিজ্য, প্রবীণ-ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ আর্দশিকদের বাইরে রেখে হাইব্রিড মতলববাজদের মাধ্যমে বশংবদ সৃষ্টি করেছে তাদের মধ্যে রাব্বানি মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে উঠেছে। রাব্বানির কারণে দলে একচ্ছত্র অধিপত্য হারানো ভয়ে এরা সঙ্কিত ও দিশেহারা হয়ে উঠেছে বলে রাব্বানী অনুগতদের দাবি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ মানুষের মধ্যে রাব্বানীর আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা ও গণ-জোয়ার ঠেকাতে ইতমধ্যে একটি চক্র রাব্বানীর বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন গায়েব ও নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছে। কিšত্ত এসব করেও রাব্বানীর জনপ্রিয়তা ও গণ-জোয়ার ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে এবার তারা বিভিন্ন এলাকায় সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও খেলাধূলায় রাব্বানীকে প্রধান অতিথি না করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল শুক্রবার তানোরের কামারগাঁ ইউপির বাতাসপুর এলাকায় স্থানীয় যুবসমাজ খেলা-ধূলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। আর ওই অনুষ্ঠানে গোলাম রাব্বানীকে প্রধান অতিথি করা হয়েছে। আয়োজন সফল করার জন্য এলাকায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণাও করা হয়েছে। কিšত্ত রাব্বানীর আগমন ঠেকাতে একটি মহল ওই অনুষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারী ও বন্ধ করে দিয়েছে। এদিকে অনুষ্ঠান বন্ধের ঘোষণার খবর ছড়িয়ে পড়লে জনমনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে উঠেছে সমালোচনার ছড়। কেউ কেউ বলছে, এভাবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কখনই সাধারণ মানুষের মন জয় করা যায় না। রাজনীতির মাঠে যারা রাব্বানীর ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে এসব করছে, পক্ষান্তরে তারা নিজেরাই চরম ক্ষতির মূখে পড়ছে যেটা তারা বুঝতে পারছে না।
অপরদিকে তৃণমূলের অভিমত, নানান কৌশল ও পরিকল্পনা করেও রাব্বানীর গণ-জোয়ার ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে তার বিরোধী শিবির এসব ফেস্টুন গায়েব ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান বন্ধ করে মূলত হার জনপ্রিয়তার কাছে হার মেনেছে। ক্ষমতার দাম্ভিকতা, অহংকার, মানুষের সঙ্গে তাচ্ছিলতা ও মেজাজী আচরণ করে যে জনপ্রিয়তা বা সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করা যায় না গোলাম রাব্বানী তার জ্বলন্ত প্রমাণ। বরেন্দ্র অঞ্চলের শত বছরের রাজনৈতিক ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান ও এক টানা তিন প্রজন্মের জনপ্রতিনিধি গোলাম রাব্বানী তৃণমূলে আলোচনা ও পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছে, ফেস্টুন গায়েব করে বা ভয়ভীতি দেখিয়ে রাব্বানীর জনপ্রিয়তা হ্রাস করা যাচ্ছে না বরং তা বুমেরাং হয়ে প্রতিনিয়ত তার জনপ্রিয়তার পাল্লা ভারী হচ্ছে। আবার কেউ কেউ এটাকে রাজনীতির মাঠে রাব্বানী বিরোধী শিবিরের নৈতিক পরাজয় বলে দাবি করছে। এব্যাপারে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুন্ডুমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানী বলেন, কারো প্রতি তার কোনো হিংসা-বিদ্বেষ নাই। তিনি বলেন, জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস্য, আমি জনগণের ওপর ভরসা করে রাজনীতি করি, কেউ যদি তার জনপ্রিয়তায় হতাশ হয়ে এসব করে সেটাও জনগণ বিবেচনা করবে।