রংপুর অফিস॥
কিশোরীকে ধর্ষনের অভিযোগে ধর্ষক আসাদুল ইসলামকে(৪১) যাবজ্জীবন কারাদন্ড,দুই লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত ১ এর বিচারক যাবিদ হুসাইন এ রায় প্রদান করেন। দীর্ঘ ১১ বছর পর এই মামলার রায় পেয়ে খুশি ধর্ষণের শিকার পরিবারের সদস্যরা। বিচারক ধষিতা কিশোরীর গর্ভের পুত্র সন্তানকে ধর্ষক আসাদুলের সন্তান হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে শিশুটি সাবালক না হওয়া পর্যন্ত তাদের যাবতীয় ভরন পোষন রাষ্ট্রকে বহন করার নির্দ্দেশ দিয়েছেন। মামলার বিবরনে জানা গেছে, রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শালটিগোপালপুর ইউনিয়নের বান্দেরপাড়া গ্রামের আলেফ উদ্দিনের ছেলে আসাদুল ইসলাম ২০০৭ সালের ৩ জুন তারিখে একই গ্রামের সুলতান মিয়ার কিশোরী কন্যাকে জোর পুর্ব্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। বিষয়টি এলাকাবাসি শালিষ ডেকে ধর্ষক আসাদুলকে কিশোরীকে বিয়ে করার কথা জানালে আসাদুল ও তার পরিবারের সদস্যরা সে অস্বীকার করে। এ ঘটনায় কিশোরী সুলতানা বেগম বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে। দীর্ঘ ১১ বছর ধরে মামলা চলার পর ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক আসামী আসাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দোহাতিত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় তাকে দোষি সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দুই লাখ টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করেন। সেই সাথে বিচারক সুলতানার গর্ভের সন্তানকে আসামী সাইদুল ইসলামের সন্তান হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে শিশুটি সাবালক না হওয়া পর্যন্ত তার ভরন পোষন সরকার বহন করবে বলে রায় প্রদান করেন। অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী ইমদাদুল হক এ মামলার রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানান। বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রফিক হাসনাঈন এবং আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক।এ মামলায় বাদীপক্ষকে সহায়তা করেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস বাংলাদেশের নারী অধিকার ইউনিট।