• শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
আম আদমি পার্টির নেতা কেজরিওয়ালের ভরাডুবি, বিজেপিকে অভিনন্দন অসংগতি ঢাবির ভর্তি প্রশ্নে, দুবার করে এলো ৪টি প্রশ্ন গাজীপুর সহ সারা দেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুর রাজধানীর ফার্মগেট থেকে উদ্ধার ৩ ককটেল নিষ্ক্রিয় করল সিটিটিসি জলপাই খাওয়ানোর কথা বলে শিশুকে ধর্ষণ, আটক অভিযুক্ত ব্যক্তি ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না সরকারকে: রিজভী মেঘনা কূলে মূর্তিমান এক আতঙ্কের নাম ‘কানা জহির’ রাজধানীতে বোমা’ পড়ে থাকার খবরে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে শ্যামনগরে পীর দাবি করা মিজানকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শাস্তির আওতায় আনা হবে গাজীপুরে হামলায় জড়িতদের: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

তানোরে রাব্বানীবিরোধী শিবিরের ফের রণেভঙ্গ

আপডেটঃ : শুক্রবার, ১ জুন, ২০১৮

তানোর প্রতিনিধি॥
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী ) সংসদীয় আসনে এমপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী, তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, মুন্ডুমালা পৌর মেয়র, তিন প্রজন্মের জনপ্রতিনিধি ও গণমানুষের নেতা গোলাম রাব্বানীবিরোধী শিবির ফের রণেভঙ্গ দিয়েছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে তারা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে গোলাম রাব্বানিমূখী জনস্রোত ঠেকাতে এবারেও ব্যর্থ হয়ে রণেভঙ্গ দিয়েছে, উবে গেছে তাদের স্বপ্ন চোখেমূখে ফুটে উঠেছে হতাশার ছাপ, নেতা ও কর্মী-সর্মথকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। চলতি বছরের ৩০ মে বুধবার পাঁচন্দর ইউপির (সাবেক) চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত হাজী মোহাম্মদ আলী মাহাম-এর তৃতীয় মূত্যু বার্ষিকী স্বরণে ইফতার-দোয়া মাহফিল এবং এমপি ফারুক চৌধুরীর সৌজন্য ইফতার মাহফিল আয়োজন নিয়ে তৃণমূলে এসব ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সূত্রপাত হয়েছে। কেউ কেউ আবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানির কাছে জেলা সভাপতি ও সাংসদ ওমর ফারুক চৌথূরীর রাজনৈতিক পরাজয় বলে অবহিত করেছে।
জানা গেছে, চলতি বছরের ৩০ মে বুধবার পাঁচন্দর ইউপির (সাবেক) চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত মোহাম্মদ আলী মাহামের তৃতীয় মূত্যু বার্ষিকী স্বরণে মাহাম পরিবারের উদ্যোগে প্রকাশনগর ফুটবল মাঠে দিনব্যাপী দোয়া ও ইফতার মাহফিল আয়োজন করা হয়। তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, মুন্ডুমালা পৌর মেয়র ও এমপি নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী গোলাম রাব্বানির সঞ্চালনে উক্ত ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান  ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও গোদাগাড়ী উপজেলা (সাবেক) চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড মকবুল হোসেন খাঁ, জেলা যুবলীগ সভাপতি আবু সালেহ ও মুন্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠানিক সম্পাদক সাইদুর রহমান প্রমূখ। অপরদিকে মাহাম পরিবারের এই দোয়া-ইফতার মাহফিলে জনসমাগম ঠেকাতে বা পন্ড করতে একই দিনে একই সময়ে কলমা ইউপির দরগাডাঙ্গা স্কুল এ্যান্ড কলেজ মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাংসদ ওমর ফারুক চৌধূরীর সৌজন্য ইফতার মাহফিল আয়োজন করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, মাহাম স্বরণে আয়োজিত দোয়া-ইফতার মাহফিলে সকাল থেকেই মানুষের ঢল নামে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের ঘটে, এতে এক পর্যায়ে ইফতার মাহফিল মহাসমাবেশে রুপ নেই। দুপুরের পরপরই প্রকাশ নগর ফুটবল মাঠ কাঁনায় কাঁনায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠে এক পর্যায়ে মাঠে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় অনেকে মাঠের বাইরে ফসলের জমিতে অবস্থান করে। ওদিকে ইফতার মাহফিলে আসার পথে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন কৌশলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেও জনসমাগম বা জনস্রোত ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে রাব্বানিবিরোধীরা হতাশায় মুষড়ে পড়ে। তবে ঠিক উল্টো চিত্র দেখা গেছে, এমপির সৌজন্য আয়োজিত ইফতার মাহফিলে। প্রায় সপ্তাহব্যাপী প্রচার-প্রচারণার পরেও ওই ইফতার মাহফিলে মাত্র দেড় হাজারের মতো মানুষের সমাগম ঘটে তবুও আবার শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের আধিক্য ছিল চোখে পড়ার মতো। আর এতেই প্রমাণ হয় এই অঞ্চলে গোলাম রাব্বানি সাধারণ মানুষের মধ্যে পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছে। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত, প্রত্যন্ত পলÍী এলাকায় ইফতার মাহফিলে সাধারণ মানুষের বিপুল সাড়া ফের প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে গোলাম রাব্বানির কোনো বিকল্প নাই এমনকি মনোনয়ন প্রত্যাশার দাবির প্রতি সমর্থন আদায়ে পুরোপুরি সফল হয়েছে। যেই নেতার ইফতার আয়োজনে ১৫ হাজার লোক সমাগম ঘটে আর যাই হোক সেই নেতাকে বাইরে রেখে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারে না করবেও না এমন প্রত্যাশা তৃণমূলের। রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাডঃ মকবুল খাঁ বলেন, এমপি ফারুক চৌধূরী প্রয়াত মোহাম্মদ আলী মাহামকে বাবা বলে ডাকতেন এমনকি প্রতি ঈদে বাবার কাছে থেকে নতুর পাঞ্জাবি না পেলে তার ঈদ পরিপূর্ণ হতো না। অথচ সেই মোহাম্মদ আলী মাহামের স্বরণে দোয়া ও ইফতার মাহফিলে তিনি না এসে এই আয়োজন পন্ড করার উদ্দেশ্যে পৃথক ইফতার আয়োজন করেছে যেটা অকৃতজ্ঞ ও বেঈমানি ব্যতিত কিছু নয়। তিনি ফারুক চৌধূরীকে একজন রাজনৈতিক বেঈমান আঙ্খ্যা দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বেঈমানদের কোনো স্খান নাই আমরা বেঈমানদের বিতাড়িত করে আদর্শিক নেতৃত্ব নিয়ে আসবো ইনশাল্লাহ।
জানা গেছে, গোলাম রাব্বানি এখনও তার নেতৃত্বের গুণে সফল নেতা হিসাবে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের কাছে সমান জনপ্রিয়। এসব সংগঠনের নেতাকর্মীরা এখনো তকেই তাদের প্রতিনিধি মনে করেন এবং তাদের যে কোনো সমস্যায় ছুটে আসেন তাঁর কাছেই। সমস্যার সমাধান পাওয়া না পাওয়া বড় কথা নয়, কিšতু রাব্বানি তাদের কথা শুনেন, চেস্টা করে সেটা পুরুণের না পারলেও কখনো কউকে কস্ট দিয়ে কথা বলেন না বরং নিজে না পারলেও পথ দেখিয়ে দেন। রাব্বানি দলের একজন পরীক্ষিত নেতা। উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড যেখানেই তিনি যান সেখানেই সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে মিশে যান। তিনি তাদেরই প্রতিনিধি হিসাবে শোনেন সুখ-দুঃখ ও বঞ্চনার কথা। রাব্বানির মতে তৃণমুল নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ। তারা সুবিধা পেতে দৌড়ে যান না বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভরসাও তারাই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ