বাগেরহাট প্রতিনিধি॥
শেষ মেষ ড্বুার ৪৬দিন পরে এমভি বিলাস গত বুধবার উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে । মোংলার পশুর চ্যানেলের হারবারিয়া এলাকায় ১৪ এপ্রিল ডুবে যাওয়া কয়লা বোঝাই এম ভি বিলাস অবশেষে দুই টুকরো করে ৩০মে উদ্ধার করা হয়েছে। জাহাজটিকে ট্রাকবোট দিয়ে টেনে হারবাড়িয়ার ১১ নেটিক্যাল মাইল দূরে মোংলার কানাইনগর বাইদ্দার চরে রাখা হয়েছে।এমভি বিলাসের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) লালন হাওলাদার বলেন, জাহাজটি ডুবে যাওয়ার পরই আমরা তোলার জন্য খুবই তৎপর ছিলাম। ২৪ এপ্রিল আমরা উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স হোসেন স্যালভেস কোম্পানীর সাথে জাহাজটি উদ্ধারের জন্য চুক্তি করি। এর পর থেকে প্রথমে জাহাজের কয়লা উত্তলন কওে জাহাজ কে খালি করা হয়। হোসেন স্যালভেসের ২৪ জন এবং মালিক পক্ষের ১২ জন মোট ৩৬ জনের একটি দক্ষ ডুবুরি দলসহ অনেকের চেষ্টায় আমরা জাহাজটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি বাহারুল ইসলাম বাহার জানান, কয়লা অপসারন করে কার্গোটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। ডুবে যাওয়ার সময় জাহাজের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী জাহাজের কাছে আছে। নৌ-পরিবহন মালিক গ্রুপ,নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন ও কার্গো মালিক পক্ষের সবাই জাহাজটি পরিদর্শন করেছেন। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কামান্ডার মো. ওলিউল্লাহ বলেন- ‘ডুবন্ত জাহাজ এমভি বিলাসকে দু-টুকরো করে নদী থেকে টেনে তুলেছে আমদানি কারকরা। জাহাজ থেকে পানি-পলিমাটি মিশ্রিত কয়লা পাম্পের মাধ্যমে উত্তোলন করে ৪০০টনের একটি বাল্কহেডে করে যশোরের নওয়াপাড়া নিয়ে গেছে আমদানী কারকরা। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর এ কে এম ফারুক হাসান বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে উদ্ধারকারী জাহাজ ক্রয় জরুরি হয়ে পড়েছে। এ জন্য আমরা একটি প্রকল্প তৈরি করছেন। যতদ্রুত সম্ভব উদ্ধারকারী জাহাজ কেনার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মাহামুদুল হাসান জানান নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ জাহাজটিকে উদ্ধার করতে পারেনি। যার ফলে সুন্দরবনের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তির জন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করব।এ ব্যাপারে মোংলা পৌর মেয়র ও বন্দরের মাস্টার স্টিভিডরস জুলফিকার আলী বলেন- ‘মোংলা বন্দরে দেশি-বিদেশি জাহাজের আগমন বেড়েছে। সে কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বেড়ে গেছে। কিন্তু খুলনায় বিআইডব্লিউটিএ কিংবা মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্ধারকারী কোনো জলযান নেই। প্রয়োজন হলে নারায়ণগঞ্জ থেকে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ নিয়ে আসা হয়। সে কারণে কোন জাহাজ এ এলাকায় ডুবলে উদ্ধার করতে দেরী হয়। ক্ষতির পরিমাণও বেড়ে যায়।’ গত ১৪ এপ্রিল রোববার ভোরে মংলা বন্দরের হারবাড়িয়া পয়েন্টে ৭৭৫ মেট্রিকটনকয়লা নিয়ে এমভি বিলাস নামে একটি লাইটার ভ্যাসেল ডুবে যায়। এসময় জাহাজে থাকা নাবিকসহ ১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন।##