সরিষাবাড়ী (জামালপুর)প্রতিনিধি॥
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সাবেক এমপির ইফতার মাহফিলে যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষে জাহিদুল ইসলাম (২৫) নামে এক যুবক নিহত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অন্তত ২০টি ঘর ভাঙচুর করেছে।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, যমুনা নদীর বালু ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জের ধরে বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি ডা. মুরাদ হাসানের ইফতার মাহফিলে যাওয়ার পথে পিংনা ইউনিয়নের নরপাড়া এলাকায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় পিংনা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলামের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (২৫) ঘটনাস্থলেই নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হন। ঘটনায় রাতেই স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুন মিয়াকে (৪০) আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার সকালে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী জাহিদুল ইসলামের হত্যাকারী আখ্যায়িত করে ৬জন আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে দফায় দফায় হামলা চালায়। এ সময় তারা নরপাড়া গ্রামের তোফাজ্জল মেলেটারির ৩টি, আবু সাইদের ৪টি, আব্দুল কাদেরের ৫টি, সোবহানের ৩টি এবং বাসুরিয়া গ্রামের সাত্তার মেম্বারের ১টি ও শাহীনের ১টিসহ অন্তত ২০টি ঘর ভাঙচুর করে। এতে বাড়িগুলোর সমস্ত আবসাবপত্র ও মালামাল নষ্ট হয়ে যায়। আতঙ্কে বাড়িঘরের লোকজন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
এদিকে শুক্রবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভির আলম বালুমহাল নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি দুই লাখ ৮৭ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করে তারাকান্দি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের জিম্মায় রাখেন।
এ ব্যাপারে তারাকান্দি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক জোয়াহের হোসেন খান জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। নিহতের লাশ দাফন শেষ হলে পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়ের হবে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ইউপি সদস্য হারুন মিয়াকে আটক করা হলেও অন্যদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।