আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংলাপের আড়ালে নির্বাচন বানচালের যে কোন ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, ‘আমরা সব দলের অংশ গ্রহণে নির্বাচন করতে চাই এবং নিবন্ধিত সব দলের অংশ গ্রহণ প্রত্যাশা করি। তবে নির্বাচনকে বানচালের জন্য কেউ সহিংসতার পথ বেছে নিলে তার সমুচিত জবাব দেয়া হবে।’
ওবায়দুল কাদের আজ শনিবার সকালে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, ‘আমরা সতর্ক আছি, কারণ কারো মনে যদি কোন মতলব থাকে, কেউ যদি সংলাপে লোক দেখানো অংশ নিয়ে ভেতরে ভেতরে নাশকতার ছক আঁকে, যদি সহিংসতার দিকে পা বাড়ায়, সেদিকেও সতর্ক আছি। আমরা সংলাপও করছি, নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছি। সঙ্গে সঙ্গে কেউ যদি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করে, সেটার সমুচিত জবাবের প্রস্তুতিও নিচ্ছি।’
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে চলমান সংলাপের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, নির্বাচনের তফশিলের সময় ঘনিয়ে আসায় ৭ নভেম্বরের পর আর সংলাপ করা সম্ভব হবে না। আগামী ৮ নভেম্বর পর্যন্ত সংলাপ করা যাচ্ছে না। ৭ তারিখের মধ্যেই সংলাপ শেষ করতে হবে। নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা হয়ে যাবে, তাই সংলাপ দীর্ঘ সময় চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
৮৫টি রাজনৈতিক দল আলোচনায় বসার সুযোগ চেয়ে যোগাযোগ করেছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, সব মিলিয়ে ৮৫টি রাজনৈতিক দল সংলাপ চেয়েছে।
জেলহত্যা দিবস সম্পর্কে সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করতেই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর জাতীয় চারনেতাকে হত্যা করা হয়। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।