৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘তথাকথিত’ উল্লেখ করে সংলাপের মাধ্যমে সংবিধান মেনে পুনরায় নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। এ সময় তিনি পুনঃনির্বাচনের পর নতুন করে সরকার গঠনেরও দাবি জানান।
বৃহস্পতিবার (১০ জানিয়ারি) বিকালে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘স্বাধীন সার্বভৌম দেশে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেবে। চুপিচুপি রাতে কী হলো, আর সকালে বলে দিল হয়ে গেছে। রাষ্ট্রকে নিয়ে তো এভাবে খেলা করা যায় না। যারা এগুলো করছে, তারা না বুঝে করছে। যারা উপদেশ দিচ্ছে, তারা সঠিক উপদেশ দিচ্ছে না। এই যে তৃতীয়বারের মতো পাঁচ বছরের জন্য যাচ্ছি, এই ধরনের তথাকথিত নির্বাচন কোনো সুস্থ মানুষের করার কথা না। মানসিকভাবে সুস্থ থাকলে কেউ এগুলো করতে পারে না। এটি অসুস্থ মানসিকতার পরিচয়। সংবিধান অনুযায়ী এটা হয় না।’
বঙ্গবন্ধুর প্রসঙ্গে কামাল হোসেন বলেন, ‘এ ধরনের কাজকে বঙ্গবন্ধু বলতেন রাজ চালাকি। আমরা রাজনীতি থেকে সরে যাচ্ছি রাজ চালাকিতে। ৩০ ডিসেম্বর ছিল রাজ চালাকির সুন্দর উদাহরণ।’ তিনি আরও বলেন, তৃতীয়বারের মতো একজন প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছেন। ৩০০ লোক সাংসদ হয়ে গেছে। আর বিরোধী দলে সাতজন। এটা কোনো খেলা নয়। ১৭ কোটি মানুষকে নিয়ে খেলা করা যায় না।
আরও পড়ুনঃ নয়াদিল্লীর বাংলাদেশ হাই কমিশনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্ট নেতা আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘কামাল হোসেনের নেতৃত্বে যাঁরা ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছেন তাঁরা বিদেশের কোনো নির্দেশে রাজনীতি করেন না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অতি ক্ষমতার লোভ। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কথা স্মরণ করে রব বলেন, বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা সমার্থক। একটা বাদ দিয়ে আরেকটাকে উপলব্ধি করা যায় না’।