ষ্টাফ রিপোর্টার : সরকার পুরো দেশকে হীরক রাজার দেশের মতো নির্যাতনের কারখানা বানিয়ে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে নির্দলীয় সরকার ও নির্দলীয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে হবে।
গতকাল বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল ইসলাম বলেন, লুটপাট থেকে সরকার ভাগ পায়। তাদের লোকজন সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বাড়াচ্ছে। এ জন্য দাম কমাতে পারবে না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে পরিকল্পিতভাবে লুটপাট করছে দেশের সম্পদ। এরপর তা বিদেশে পাঠাচ্ছে। যা নিয়ে সারাবিশ্বে তুলকালাম হচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সারা ঢাকায় সাবা নামের একটি মেয়ের পোস্টার ছেয়ে গেছে। তার বাবা গুম হয়েছে।
আমরা কি খোঁজ নিয়েছি পরিবারটি কেমন আছে? গতকাল তার মা ফোন করেছিল বড় ছেলে অসুস্থ। চিকিৎসার খরচ জোগানোর সামর্থ্য নেই। এই অবস্থা সবখানে চলছে। কী অপরাধ ছিল তাদের। তারা কথা বলতে চেয়েছিল। এখন কথা বললেই মামলা দেয়া হচ্ছে। আকারে ইঙ্গিতের কথা সরকারের বিরুদ্ধে গেলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেয়া হয়।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়ে ফখরুল বলেন, শুধু চাল-ডালের দাম কমালেই হবে না। জীবনকে সুন্দরভাবে চলতে দিতে হবে। প্রশাসনকে জনগণের সেবক হতে হবে। অবিলম্বে সরকারকে ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নির্দলীয় সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে সরকারকে নির্বাচনে বাধ্য করতে হবে। এটাই হোক আমাদের প্রতিজ্ঞা।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, সরাফত আলী সফু, আজীজুল বারী হেলাল, আমিনুল হক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সেক্রেটারি আব্দুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।