• বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:৫০ পূর্বাহ্ন

বিদ্রোহী প্রার্থী জাহাঙ্গীরকে নিয়ে আ.লীগের মাথা ব্যথা নেই: মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ২ মে, ২০২৩

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমকে নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো মাথা ব্যথা নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। বলেন, তাকে নিয়ে দল মাথা ঘামাচ্ছে না।

মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমন্বয় টিমের বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে সিটি করপোরেশ নির্বাচন দলের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে সিটি নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচন নিয়ে আমাদের মিটিং হয়েছে। মিটিংয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা জনগণের ভোটের মাধ্যমে জয়লাভ করতে চায়। সেই লক্ষ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

মায়া বলেন, বাংলাদেশে কেউ যেন আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সে বিষয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের এখন থেকে মাঠে থাকতে বলা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ২৫মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন। এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় নির্বাচনের আগে এ নির্বাচন দেশবাসীর জন্য আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হওয়ার জন্য সবার ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রধান এ সমন্বয়ক বলেন, গাজীপুর একটি বিশাল এলাকা। সেখানে ভোটার সংখ্যা প্রায় ১২ লাখের কাছাকাছি, ৯টি থানা, ৪৮০টি কেন্দ্র ও ৫৭টি ওয়ার্ড। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করতে গেলে বিশাল কর্মী বাহিনী দরকার। তাই গাজীপুরে সর্বস্তরের জনগণ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতার পক্ষের সকল মানুষকে আমরা ঐক্যবদ্ধ করে নির্বাচনে জয়লাভ করতে চাই। ভোটের মধ্য দিয়ে আমরা জয়লাভ করতে চাই। সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ ও আগুন সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে কেউ যেন নির্বাচন বানচাল করতে না পারে তার জন্য কর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচন পরিচালনার জন্য সেখানে আমাদের একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয় থাকবে। সেখান থেকেই নির্বাচন পরিচালনা করবো। নির্বাচন পরিচালনার জন্য থানা ভিত্তিক কমিটি হবে। ভোট কেন্দ্র ভিত্তিকও কমিটি হবে। স্তরে স্তরে কমিটিগুলো সাজাব। ৪৮০টির মধ্যে বেশিরভাগ কমিটি হয়ে গেছে। আগামী ৯ তারিখের আগে নির্বাচনের সব কাজ শেষ করতে পারবো বলে আশা করছি। প্রত্যেকে যেন ভোট দিতে পারেন সেই ব্যবস্থা করতে চাই। আশা করি নৌকার বিজয় হবে।

এসময় উপস্তিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, কার্যনির্বাহী সদস্য গোলম রাব্বানি, উপপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীমসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ